লক্ষ্মীপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রকাশ্যে গুলি চালানো নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা মো. শাহীন আলমকে বিদেশে পালানোর সময় বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে তাঁকে ছাত্র হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

আদালত মো. শাহীন আলমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। 

এর আগে গতকাল সোমবার রাতে ঢাকার শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে শাহিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সৌদি আরবে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। 

শাহীন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে।

লক্ষ্মীপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ঝলক মোহন্ত বলেন, শাহীন গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তার বিষয়ে ইমিগ্রেশনে আগেই চিঠি দেওয়া ছিল। সৌদি আরবে পালিয়ে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে আটক করে। পরে তাঁকে আমাদের কাছে সোপর্দ করে। তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট সকালে লক্ষ্মীপুর শহরের মাদাম ব্রিজ ও দুপুরে জেলা শহরের তমিজ মার্কেট এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ও হামলা করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সে সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে চার শিক্ষার্থী নিহত ও দুই শতাধিক লোক আহত হয়। এসব ঘটনায় করা মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের হাজারও নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। সেদিন শাহীনকে অস্ত্র হাতে গুলি করতে দেখা যায়। ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।