ঢাকায় রাবির অতিথি ভবন কেনায় দুর্নীতি হয়নি, দাবি প্রশাসনের
ঢাকার হাতিরপুলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অতিথি ভবন ও জমি কেনা নিয়ে দুর্নীতি বা অস্বচ্ছতার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপ-উপাচার্য এবং ঢাকায় জমিসহ ফ্ল্যাট ক্রয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন।
এর আগে ওই অতিথি ভবন ও জমি কেনা নিয়ে দেশের প্রথম সারির কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনের তথ্যকে ‘আংশিক তথ্যনির্ভর ও সামগ্রিকভাবে প্রক্রিয়াকে বিশ্লেষণ করা হয়নি’ বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান উপ-উপাচার্য।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক সারওয়ার জাহান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অতিথি ভবন কেনার ক্ষেত্রে আলাদাভাবে কোনো জমি ক্রয় করেনি বরং জমিসহ ফ্ল্যাট ক্রয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ক্ষেত্রে জমির দাম নয় বরং বর্গফুট অনুযায়ী ফ্ল্যাটের দর নির্ধারণ করা হয়েছে।
কীভাবে টাকা দেওয়া হয়েছে সে প্রক্রিয়া বর্ণনা করে উপ-উপাচার্য বলেন, সিন্ডিকেটের ৫১তম সভায় চার ধাপে অর্থ প্রদান প্রক্রিয়া সম্পর্কেও সিদ্ধান্ত হয়। ধাপগুলো হলো, রেজিস্টার্ড বায়নানামা চুক্তিপত্র সম্পাদনের সময় দুই কোটি, দলিল সম্পাদনের সময় পাঁচ কোটি ৫০ লাখ টাকা, জমির দলিল দেওয়ার এক মাস পর দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা ভবন নির্মাণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের পর অবশিষ্ট তিন কোটি ২৫ লাখ টাকা পরিশোধ হবে। এরই মধ্যে তিনটি ধাপ সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সারওয়ার জাহান আরো বলেন, অতিথি ভবন কেনার ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয় নীতিমালা ২০০৮ এর কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। পিপিআর ২০০৮-এ জমি বা ফ্ল্যাট ক্রয়ের নির্দিষ্ট নিয়ম না থাকলেও ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার লক্ষ্যে পণ্যের আওতায় ফেলে দুইবার উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতেও ব্যর্থ হয়ে সরাসরি ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যার মাধ্যমে সরকারি ক্রয়নীতির সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সায়েন উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এন্তাজুল হক, প্রধান প্রকৌশলী সিরাজুম মুনীর ও হিসাব পরিচালক আশরাফ-উল-হুদা।