ঢাবি থেকে ছাত্রলীগের ৫ নেতাকর্মী বহিষ্কার
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলে এক ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. এ এম আমজাদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিজয় একাত্তর হলে গত বৃহস্পতিবার সাধারণ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। মৌখিকভাবে উপাচার্য বহিষ্কারের অনুমোদন দিয়েছেন। লিখিতভাবে বহিষ্কারের কিছু প্রক্রিয়া বাকি আছে।
বহিষ্কার হওয়া নেতাকর্মীরা হলেন ঢাবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র আরিফুল ইসলাম আরিফ, একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র কাজী তানভীর আহমেদ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সামচিতা ব্রীজ প্রান্ত, আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আহসান হাবিব সজীব ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু ইউনুস।
বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে বিজয় একাত্তর হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আরিফুল ইসলাম আরিফের সঙ্গে হলের ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের ইসমাইল আহমেদ মুবিনের ধাক্কা লাগে। এ কারণে হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আরিফের নেতৃত্বে ওই শিক্ষার্থীকে তিন দফায় ব্যাপক মারধর করে। পরে সংকটাপন্ন অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় গত শুক্রবার হল প্রশাসন সিসি টিভির ফুটেজ দেখে মারধরকারীদের চিহ্নিত করে। পরে তাৎক্ষণিকভাবে আটজনকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
জড়িতদের ছাত্রলীগ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না-জানতে চাইলে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, এ ঘটনার পর ছাত্রলীগ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষে দোষী প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।