ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ
পুরোনো ছবি ফেসবুকে দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসানের বিরুদ্ধে।
এক বছর আগে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানের সঙ্গে ছাত্র ইউনিয়নের নেতাদের তোলা একটি ছবি দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে জানা যায়।
আজ রোববার সকালে ফেসবুকে আবিদ আল হাসান একটি ছবি ‘পোস্ট’ করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, ঢাবির সাম্প্রতিক ঘটনায় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক হয়েছে। তাঁদের এই ছবিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেন আবিদ আল হাসান।
তবে আবিদ আল হাসান ওই ‘পোস্ট’ দিয়ে ছাত্রলীগের দোষ ঢাকার চেষ্টা করছেন বলে মনে করেন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখার সভাপতি তুহিন কান্তি দাস।
ফেসবুকে আবিদ আল হাসান লিখেন, ‘ছবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের পেছনের ষড়যন্ত্র। লাল টি-শার্ট আকরামুল হাসান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, লিটন নন্দী ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, তুহিন কান্তি দাস ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি সভাপতি, সাগর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক। এবার বুঝলেন লিটন নন্দীদের আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য কী ছিল?’
তবে এই ছবির সত্যতা তুলে ধরেন তুহিন কান্তি দাস। ফেসবুকে তিনি লিখেন, ‘একটি ছবিকে ছাত্রলীগ সর্বস্তর থেকে ভাইরাল করার চেষ্টা করছে। ছবিটি ২০১৬ সালের। আমি তখন সদ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক এবং লিটন নন্দী সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলাম। তখন ছাত্রদলের সঙ্গে নতুন কমিটি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছিলাম। একই সাক্ষাৎ আমরা ছাত্রলীগের সঙ্গে মধুর ক্যান্টিনেও করেছিলাম। আর অজানার কথা নয়, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কয়েক মাস ধরে জেলে। আর তখনকার ছবির অবয়বের সঙ্গে বর্তমান অবয়বের যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। তো বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। যাই হোক উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আবিদ আল আসান এবং সাধারণ সম্পাদক মোতাহের হোসেন প্রিন্স মধুর ক্যান্টিনে নব নির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দিত করছে। কোনো নতুন কমিটি দায়িত্ব নিলে পরে শুভেচ্ছা বিনিময় এটা একপ্রকার রাজনৈতিক শিষ্টাচার।’
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান গত বছরের নভেম্বর মাসে গ্রেপ্তার হন। তিনি এখনো কারাগারে আছেন বলে জানা যায়।
ছবির বিষয়ে জানতে চাইলে আবিদ আল হাসানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এই ছবি ছাত্রলীগের হামলার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে জানান তুহিন কান্তি দাস। এনটিভি অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘এটা গত বছর আমাদের নতুন কমিটি দেওয়ার পরে তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাতের একটি ছবি। আবিদ আল হাসান এই ছবি দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। আমাদের আন্দোলনের সাথে ছাত্রদল বা অন্য কোনো সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা নেই। তাঁদের কেউ যদি আমাদের আন্দোলনে থাকে তো সেটা তাঁদের একান্ত বিষয়।’
ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদ আল হাসানের ছবিতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সরদার আমিনুল ইসলাম সাগরও (বহিষ্কৃত) ছিলেন। জানতে চাইলে সাগর এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এটা ২০১৬ সালের ছবি। আমি আর আকরাম ভাই যাচ্ছিলাম। হঠাৎ লিটন নন্দীর সাথে দেখা হলে এই ছবি তোলা হয়।’