নিজেদের শিক্ষার্থীর হাতে শাবিপ্রবির ওয়েবসাইট হ্যাকড!
নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর হাতেই হ্যাকিংয়ের কবলে পড়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের ইংরেজি ভার্সন। তবে বাংলা ভার্সনের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেননি হ্যাকার।
জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘লুলয সেক’ নামের একটি আইডি থেকে হ্যাকিংয়ের বিষয়টি জানানো হয়। ওই প্রোফাইলের মালিক নিজেকে শাবিপ্রবির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী বলে দাবি করেন। গভীর রাতে ওয়েবসাইটটি হ্যাকিংয়ের শিকার হলেও এখন পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেননি ওয়েবসাইটটির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।
লুলয সেক নামের আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখা হয়, ‘মনে আছে আমি তোমাদেরকে এর আগেও একবার ডাউন করেছিলাম।’ সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘নিরাপত্তা? এটা একটা বিভ্রম! আর যাই হোক, তোমরা আর নিরাপদ নও।’
ওয়েবসাইটটিতে ঢুকে দেখা যায়, শেষে ব্যঙ্গসূচকভাবে দাবার গুটি নিয়ে লেখা, ‘তোমার রাণী, আমার নৌকা, দেখা যাক কে আটকা পড়ে।’
লুলয সেক নামের আইডি থেকে হ্যাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী বলেও দাবি করা হয়। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এটা নিয়ে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগেও আলোচনা চলছে, কে সেই শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সেন্টারের পরিচালক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ওয়েবসাইটটির নিয়ন্ত্রণ নিতে আমরা কাজ করছি। আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সাইটটি উদ্ধার করতে পারব।’
এর আগে বেশ কয়েক দফা হ্যাকিংয়ের শিকার হয় শাবিপ্রবির ওয়েবসাইট। ২০১৪ সালের ২৫ নভেম্বর দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগের দাবিতে ওয়েবসাইটটি হ্যাক হয়। পরে ২৬ নভেম্বর পুনরায় ওয়েবসাইট উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। এরপর ২০১৫ এর ২৬ আগস্ট পুনরায় হ্যাকিং করে ওয়েবসাইটে গান ছেড়ে দেন হ্যাকাররা। এতে ‘নো ভ্যাট অন এডুকেশন’ও লিখে রাখেন তারা।
পরে ২০১৫ সালের নভেম্বরে ভর্তি পরীক্ষার দুদিন আগে করা এক হ্যাকিংয়ে হ্যাকার ওয়েবসাইটটির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তখন সাইটে লেখা হয়েছিল, ‘তোমাদের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বড়াই বাদ দাও, যদি না নিজেদের নিরাপত্তা থাকে।’
২০১৬ সালের ২৯ জুন নতুনভাবে উদ্বোধন করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট। তখন ওয়েবসাইটটি অত্যন্ত সুরক্ষিত বলে দাবি করেন সংশ্লিষ্টরা। এরপর আবারও নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে ওয়েবসাইট হ্যাকের ঘটনায় এই সাইটের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।