ইবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, বিছানায় চিরকুট
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাইমুজ্জামান খান সাঈম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ক্যাম্পাসের পাশের শেখপাড়া বাজারের মা মঞ্জিলের (মেস) নিচতলার কক্ষ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই মেসের সহপাঠীদের ভাষ্যমতে, নিচতলার একটি কক্ষে একাই থাকতেন সাঈম। গতকাল দুপুরে তাঁর সঙ্গে কয়েকজনের শেষ কথা হয়। বিকেলে কক্ষটি ভিতর থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। ঘুমিয়েছে ভেবে আর কেউ ডাকাডাকি করেনি। কিন্তু সন্ধ্যা পার হয়ে রাত হলেও দরজা বন্ধ দেখে সবার সন্দেহ হয়। রাতে দরজার নিচের ফাঁকা স্থান দিয়ে ঝুঁলে থাকা সাঈমের পা দেখে সবাই চিৎকার শুরু করে।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান ও শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন এসে দরজা ভেঙে সাঈমের লাশ উদ্ধার করেন। এ সময় তাঁর বিছানার ওপর পড়ে থাকা ডায়েরিতে তিন পাতার চিরকুট লেখা পাওয়া যায়।
সাঈম ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের আজিয়া গ্রামের আজম খানের ছেলে। প্রেমঘটিত কারণে সাঈম আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। কোনো শিক্ষার্থী যেন জীবনে এ রকম কাজ না করে।
শৈলকুপা থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, দরজা ভেঙে কক্ষের ভিতরে প্রবেশ করে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সুতরাং নিঃসন্দেহে বলা যায়, সাঈম আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।