কেউ পাস করেনি এমন স্কুল বেড়েছে
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় একজনও পাস করেনি এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা গতবারের চেয়ে বেড়েছে।
আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল হস্তান্তর করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
এতে সারা দেশে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ, যা গত বছরের চেয়ে ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ কম। ২০১৭ সালে ১০ শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৫।
তবে এবার গতবারের চেয়ে পাঁচ হাজার ৮৬৮ জন বেশি জিপিএ ৫ পেয়েছে।
পরে দুপুর ১টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ফলের নানা দিক নিয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আসেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী জানান, ‘গতবার পাস করেছে ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এবার ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। পাসের হার কমেছে ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ।’
‘শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠান গতবার ছিল ৯৩টি। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৯টি। ফলে কেউ পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠান গতবারের চেয়ে ১৬টি বেড়েছে,’ যোগ করেন নুরুল ইসলাম নাহিদ।
গত ১ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে ও দেশের বাইরে কয়েকটি কেন্দ্রে একযোগে এসএসসি ও সমমানের লিখিত বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত চলে।
এ বছর তিন হাজার ৪১২টি কেন্দ্রে মোট ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৯ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তার মধ্যে ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২ জন ছাত্র। ছাত্রীর সংখ্যা ১০ লাখ ৮ হাজার ৬৮৭ জন।
দুপুর ২টার পর থেকে পরীক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবে।
যেভাবে জানা যাবে ফল
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। এ জন্য ssc লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। মাদ্রাসা বোর্ডের ক্ষেত্রে Dakhil লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে আবার স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের সাল লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
এ ছাড়া কারিগরি বোর্ডের এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার ফল জানতে ssc লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের সাল লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। এ ছাড়া www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে ফল ডাউনলোড করা যাবে।
ফল প্রকাশের পর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, গতবারের চেয়ে এ বছর ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পাসের হার বেশি।