ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো সোশ্যাল পার্টনারশিপ কনফারেন্স
গতকাল রোববার ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইউএসএআইডির সহায়তায় ও কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে সোশ্যাল পার্টনারশিপ কনফারেন্স।
ওই সম্মেলনে বক্তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহ্ত রাখার জন্য স্থানীয় নেতৃত্ব বিকাশের ওপর জোর দিয়েছেন। সভায় উপস্থিত যুব ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেছেন।
ইউএসএআইডির অর্থায়নে ২০১২ সাল থেকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ১৪টি জেলায় লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করছে।
যার মূল লক্ষ্য হলো, গণতান্ত্রিক ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় কার্যকর ও সক্রিয়ভাবে নাগরিকদের সম্পৃক্ত করা এবং অংশীদারিত্ব ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা। যাতে করে যুবক ও তরুণরা সমাজ পরিবর্তনের দূত হিসেবে সর্বক্ষেত্রে কাজ করতে পারে।
কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের সম্মেলনে তৃণমূল থেকে আসা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের লিডাররা কমিউনিটি উন্নয়নে তাঁদের বিভিন্ন উদ্যোগ উপস্থাপন করেন।
সোশ্যাল পার্টনারশিপ কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. শহিদুল ইসলাম এবং পরিচালক (পরিকল্পনা) আবুল হাছান খান। অতিথিরা উদ্যোগগুলোকে স্বাগত জানিয়ে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের সঙ্গে কীভাবে লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের উদ্যোগগুলো সম্পৃক্ত করা যায়, তা খুঁজে বের করার জন্য সম্মেলনে উপস্থিত লিডারদের প্রতি আহ্বান জানান।
কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের প্রোগ্রাম বাস্তবায়নকারী পাঁচটি সংস্থা : ডেমক্রেসিওয়াচ, মানব কল্যাণ পরিষদ, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, ইপসা ও তৈমু-এর প্রধান নির্বাহীরা সম্মেলনে উপস্থিত থেকে এই প্রোগ্রামের কর্মকাণ্ডগুলো চলমান রাখার কথা ব্যক্ত করেন।
কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি রাকিব আহসান, লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের সফলতার গল্পগুলো বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা ব্যক্ত করেন। সম্মেলনে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের ডিরেক্টর সরদার আরিফ উদ্দিন।