মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ রাবি শিক্ষার্থীরা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মশার উপদ্রব মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে রাবি শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পাস ও হলের আশপাশের ঝোপ-ঝাড়, জঙ্গল, ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় মশা এমন আকার ধারণ করেছে বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, খুব দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান করা হবে।
মশার সমস্যার বিষয়ে শহীদ শামসুজ্জোহা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বাপ্পী বলেন, ‘আমাদের হলের পাশের ফাঁকা জায়গাগুলো পরিষ্কার না করায় তা জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেনগুলোও ঠিক মতো পরিষ্কার করা হয় না। ফলে সহজেই মশা খুব দ্রুত বংশ বিস্তার করেছে। এজন্য রাতে মশার জন্য রুমে থাকা দায় হয়ে যায়। সন্ধ্যা হলেই মশারি দিয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে পাড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে।’
বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সুমন হোসেন বলেন, ‘আমাদের হলের উত্তর দিকের ড্রেনের পানি দীর্ঘদিন ধরে জমা হয়ে আছে। এতে প্রতিদিন হাজারো মশার জন্ম হচ্ছে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা অপরিচ্ছন্ন থাকায় মশার জন্য চায়ের দোকানে পর্যন্ত বসা যায় না। তাই আমাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খুব শিগগিরই সমস্যা সমাধানে মশা নিধন স্প্রে প্রয়োগ করুক।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমাজকর্ম বিভাগের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে শনিবার মশা নিরোধক স্প্রে করা হয়েছে। আমাদের পড়াশোনার কথা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন না ভেবে নিজেদের কথা ভাবছে।’
তাপসী রাবেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বিজলী রায় বলেন, ‘মশার অত্যাচারে খুব অতিষ্ঠ হয়ে ছিলাম। শনিবার আমাদের হলে মশা নিধন স্প্রে করে যাওয়ায় মশা একটু কম। তবে এখনো মশা রয়েছে।’
মশার সমস্যার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন মাতিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘মশার ব্যাপারে গত সপ্তাহে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা অতি দ্রুত মশা নিধন স্প্রে প্রয়োগ করবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছে।’
উপ-উপাচার্য চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, ‘গত শনিবার মেয়েদের হলগুলোতে মশা নিধন স্প্রে করা হয়েছে। আমরা সিটি করপোরেশনকে অনুরোধ করেছি তারা যেন আগামী সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে স্প্রে করে দেয়।’