সাংবাদিক নেতাকে ক্যাম্পাস ছাড়া করার হুমকির অভিযোগ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনিয়মের সংবাদ পরিবেশন করায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রাসেল মাহমুদকে ক্যাম্পাস ছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে সাংবাদিক সমিতি।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনিয়মের কথা উল্লেখ করে ‘সমাজ চেতনা নাগরিক সমাজ’ (কুমিল্লা শাখা) নামক একটি সংগঠন উপাচার্য বরাবর একটি চিঠি পাঠায়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ পরিবেশন করে। যার অনুলিপি বিশ্ববিদ্যায়ের ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক সমিতি, জেলা প্রশাসক, কুমিল্লা পুলিশ সুপার, দুর্নীতি দমন কমিশন কুমিল্লা বরাবর দেওয়া আছে বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার জাকির হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল লতিফ এবং কম্পিউটার অপারেটর মনিরুজ্জামান তুষার বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রাসেল মাহমুদসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে জাকির হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের নামে এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক জড়িয়ে উড়ো চিঠি বিতরণের হুমকি দেয়। মনিরুজ্জামান তুষার মুঠোফোনে সাংবাদিক সমিতির সভাপতিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং কীভাবে ক্যাম্পাসে অবস্থান করে তা দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টর, শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও সাংবাদিক সমিতির উপদেষ্টাদের স্মারকলিপির অনুলিপি দেওয়া হয়।
একাধিকবার মুঠোফোনে চেষ্টা করেও অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান তুষারের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। জাকির হোসেনের কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো আলী আশরাফ বলেন, ‘আমি এখন কুমিল্লার বাইরে আছি। ক্যাম্পাসে এসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’
উল্লেখ্য, সেকশন অফিসার জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে শিক্ষক লাঞ্ছনার অভিযোগও রয়েছে। ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে প্রায় এক সপ্তাহ ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।