টিএসসিতে ‘স্বপন মামা’র তিন দশক
‘টিএসসি’ শব্দটি উচ্চারণ করলে মনের মণিকোঠায় যে ছবিটি ভেসে উঠবে, তা হলো ঢাকা প্রাণবন্ত আড্ডা, প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর কলরবে মুখরিত এক আঙিনা। হাসি-ঠাট্টা, আবেগ, রাজনীতি, শিল্প গান—এমন সব আলোচনা তর্কেই তো মেতে থাকে টিএসটি চত্বর। আর এসব আড্ডা বসে টিএসসির ছোট ছোট চায়ের দোকান ঘিরে। এই আড্ডাকে যাঁরা চাঙ্গা রাখেন, তাঁদেরই একজন স্বপন মামা।
হেলেদুলে হাঁটা, মিষ্টি করে হাসা, কখনো অভিভাবকের মতো রেগে যাওয়া, কখনো বা আড্ডাগুলোকে নানা গল্পের খোঁচা দিয়ে জমিয়ে দেওয়া মানুষটিই হলেন টিএসসির স্বপন মামা।
এই মানুষটি চোখের সামনে দেখেছেন টিএসসির সময় বদলের গল্প। সিনেমার ‘টাইম ল্যাপসের’ মতো করে যেন তাঁর চোখের সামনে দিয়ে পরিণত হয়েছে আজকের এই টিএসসি।
১৯৮৪ সালে এসেছেন এই টিএসসিতে। এর পর এখানেই রয়ে গেছেন চায়ের কেটলি হাতে। চায়ের কেটলি থেকে ফুটন্ত গরম পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যাওয়ার মতো কত গল্প তিনি বদলে যেতে দেখেন, আবার নতুন করে জন্ম নিতে দেখেছেন অনেক গল্প।
ঋতুর পালাবদল, রাজনৈতিক অদল-বদল, দেশ সমাচার, অসংখ্য ছাত্রছাত্রীর ভালোবাসার অত্যাচার এবং টিএসসির টিএসসি হয়ে ওঠা যেন তাঁর (স্বপন মামা) চোখের সামনেই।
ঢাবি আঙিনায় ৩২ বছর পার করে আসা স্বপন মামাকে নিয়ে তাই ‘স্বপন মামার ৩২ বছর পূর্তি’ উৎসবের আয়োজন করেছে শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার বিকেলে টিএসসিতে তাঁর দোকানের সামনেই এই আয়োজন।
ফেসবুকে আয়োজকরা এই নিয়ে একটি ইভেন্টও খুলেছেন। ‘স্বপন মামার ৩২ বছর পূর্তি উৎসবে’ স্বপন মামা দুপুর থেকে কোনো চা বানাবে না বা বিক্রি করবে না। তবে তার জায়গায় আয়োজকরা চা বানাবেন এবং ফ্রি চা খাওয়াবেন সবাইকে।