কুবি প্রশাসনকে তিনদিনের আলটিমেটাম
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সভাপতিসহ কয়েকজনকে লাঞ্ছনাকারীদের শাস্তির জন্য প্রশাসনকে তিনদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (কুবিসাস)।
আজ বুধবার সকালে ক্যাম্পাসে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক মানববন্ধন থেকে কুবিসাস অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রোববার পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এ ছাড়া স্মারকলিপির অনুলিপি প্রক্টর, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, ছাত্র উপদেষ্টা, শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ বরাবর প্রদান করা হয়।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনিয়মের সংবাদ পরিবেশন করায় গত ১৭, ১৮ ও ১৯ মে বিভিন্নভাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের লাঞ্ছিত করে সেকশন অফিসার জাকির হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল লতিফ এবং কম্পিউটার অপারেটর মনিরুজ্জামান তুষার। ১৮ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর মনিরুজ্জামান তুষার মুঠোফোনে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রাসেল মাহমুদকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং কীভাবে ক্যাম্পাসে অবস্থান করে তা দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। ওই ঘটনার প্রতিবাদ ও অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে ১৯ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপি প্রদান করে সাংবাদিক সমিতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের অভিযোগ, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে প্রথম থেকেই কালক্ষেপণ করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণেই আজ এ মানববন্ধন করে সাংবাদিক সমিতি।
মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে অংশগ্রহণ করে ‘থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’, আবৃত্তি সংগঠন ‘অনুপ্রাস’, রক্তদাতা সংগঠন ‘বন্ধু’ ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শফিউল্লাহর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন থিয়েটার সভাপতি মহিউদ্দিন সজিব, বন্ধুর সভাপতি আইনুন নিশাত, অনুপ্রাসের পলাশ।
মানববন্ধনে সাংবাদিক সমিতির অর্থসম্পাদক মো. মতিউর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মুসাইব ও সহসভাপতি তোফায়েল আহমেদ বক্তব্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ অন্যায়ের কোনো বিচার করছে না। ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল লতিফ, সেকশন অফিসার জাকির হোসেন, কম্পিউটার অপারেটর মনিরুজ্জামান তুষার বারবার অপরাধ করলেও প্রশাসন নীরব থেকেছে। সভাপতিসহ অন্য সদস্যদের হুমকি দিয়েও তাঁরা প্রশাসনের আশ্রয় পেয়ে যাচ্ছেন।’
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজা ই এলাহী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। তাদেরই যখন হুমকি প্রদান করা হয় এবং প্রশাসন নীরব ভূমিকা সত্যিই লজ্জাজনক। অবিলম্বে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হোক।’
ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীর সঙ্গেই কর্মকর্তারা এ রূপ ব্যবহার করতে পারেন না। কিন্তু যেখানে সাংবাদিকরাই এর শিকার সেহেতু বিচার অনিবার্য।’