ইবির নতুন উপাচার্য আশকারী, কোষাধ্যক্ষ সেলিম
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নতুন উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রাশিদ আশকারী। কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব আবদুস সাত্তার মিয়া স্বাক্ষরিত এক ফ্যাক্স-বার্তায় নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এস এম আবদুল লতিফ সাংবাদিকদের এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ উপাচার্য পদে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশিদ আশকারী এবং কোষাধ্যক্ষ পদে আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম তোহাকে নিয়োগ দেন। আগামী চার বছরের জন্য এ দুজনকে নিয়োগ দেওয়া হলো।
নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আশকারী এর আগে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় ফেডারেশনের মহাসচিব পদে সাফল্যের সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া বর্তমানে তিনি ফোকলোর বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।
নবনিযুক্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা বিভাগীয় সভাপতি, আইন ও শরিয়াহ অনুষদের ডিন, প্রক্টর, বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
রেজিস্ট্রার এস এম আবদুল লতিফ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ রোববার বিকেল সোয়া ৩টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে উপাচার্য পদে অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী ও কোষাধ্যক্ষ পদে অধ্যাপক ড. সেলিম তোহাকে নিয়োগের একটি ফ্যাক্স আসে। এরপর তাঁরা দুজনই বিকেল ৪টার দিকে নিজ নিজ পদে যোগদান করেন।’
উপাচার্য ড. রাশিদ আশকারী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদের দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করতে চাই।’
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মহামন্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন এ জন্য তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। কোষাধ্যক্ষ পদের যে সীমারেখা তা যথাযথভাবে পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণের জন্য কাজ করতে চাই। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কিছুটা ইমেজ সংকটে ভুগছে। সবার সহযোগিতায় এই ইমেজ সংকটের উত্তরণ ঘটাতে চাই।’
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউট বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার এবং কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক ড. আফজাল হোসেন।
গত ৩০ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক ফ্যাক্সবার্তায় তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুদল হাকিম সরকারকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর আগে তৎকালীন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আফজাল হোসেনকে স্বপদে বহাল রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ড চালানো সম্ভব নয় এই মর্মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দেন তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আফজাল হোসেনকে অব্যাহতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর পর থেকে উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদটি শূন্য ছিল।