রাবির তিন শিক্ষকের কাছে চাঁদা চেয়ে হুমকি
সুব্রত বাইন পরিচয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বাংলা বিভাগের তিন শিক্ষকের কাছে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাঁদা না দিলে প্রাণনাশের হুমকিও দেয় ওই ফোনকারী।
হুমকি পাওয়া শিক্ষকরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সফিকুন্নবী সামাদী, সহযোগী অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান ও প্রভাষক ড. শামসুন নাহার।
এ বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘গত ১১ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একজন ভারতের নম্বর (৯১৮০১৭৮২২৭২৫) থেকে ফোন করেন। ফোনকারী নিজেকে সুব্রত বাইন পরিচয় দিয়ে আমার কাছে চার লাখ টাকা দাবি করেন। তিনি বলেন, সাভার ইপিজেডে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক লোক আহত হয়েছে। কলকাতার খিদিরপুরে তার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসার জন্য ১৪ লাখ টাকা দরকার। আমাদের কাছে ১০ লাখ আছে। আপনাকে বাকি চার লাখ টাকা দিতে হবে। আমি বলি সরি, এত টাকা দিতে পারব না। এর উত্তরে সুব্রত বলেন, রাজশাহীতে আমাদের দলের লোকজন আছে। আপনি টাকা না দিলে মুহূর্তের মধ্যেই আপনার সবকিছু তছনছ হয়ে যাবে।’
এর এক ঘণ্টা পর অধ্যাপক মিজানুর রহমান খান রাজশাহী নগরীর মতিহার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এই একই নম্বর ও নাম ব্যবহার করে সোলাইমান আলী নামে তাঁর সাবেক এক শিক্ষার্থীকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও মিজানুর রহমান জানান।
একই বিভাগের প্রভাষক ড. মোসা. শামসুন নাহার জানান, গত ৬ অক্টোবর সকালে তাঁকেও একই নম্বর থেকে, একই নামে ফোন করে চাঁদা চাওয়া হয়। না হলে পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করার হুমকি দেওয়া হয় অপর প্রান্ত থেকে। সুব্রত বাইন নিজেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শীর্ষ সন্ত্রাসী বলেও দাবি করেন।
শামসুন নাহারকে হুমকি দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই একই নম্বর থেকে বাংলা বিভাগের আরেক অধ্যাপক ড. সফিকুন্নবী সামাদীকে ফোন করেন সুব্রত বাইন পরিচয়ে এক ব্যক্তি।
এ বিষয়ে সফিকুন্নবী সামাদী বলেন, ‘ফোন করে সুব্রত বাইন পরিচয় দিয়ে লোকটি আমাকে বলে, আমাকে চিনতে পেরেছেন? আমি বলি, চিনতে পেরেছি। আমি পরীক্ষা দিই না, নিই এই বলে আমি ফোন রেখে দিই।’
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘মিজানুর রহমান আর শামসুন নাহার থানায় জিডি করেছেন। সফিকুন্নবী সামাদী করেননি। হুমকি এসেছে ভারতীয় নম্বর থেকে। এ জন্য বিষয়টা একটু জটিল হয়ে গেছে। তারপরও আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’