টাঙ্গাইল-৭ উপনির্বাচন : আ.লীগ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সাত প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীসহ চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জেলা নির্বাচন কার্যালয় মিলনায়তনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মনোনয়নপত্র বাতিলকৃতদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য খান আহমেদ শুভ, বৈরাবরী পার্টির (অনিবন্ধিত) যুগ্ম সম্পাদক পীর সৈয়দ আলমগীর হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম নুরু ও আরজু মিয়া।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান জানান, সেন্ট্রাল ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) রিপোর্ট অনুযায়ী খেলাপি ঋণের জামিনদার থাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান আহমেদ শুভ এবং ভোটার আইডির নামের সঙ্গে মনোনয়নপত্রে প্রদত্ত নামের মিল না থাকায় বৈরাবরী পার্টির যুগ্ম সম্পাদক পীর সৈয়দ আলমগীর হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এ ছাড়া এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গড়মিল থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম নুরু ও আরজু মিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে তিনজনকে বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। বৈধ প্রার্থীরা হচ্ছেন জাতীয় পার্টির সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জহিরুল ইসলাম জহির, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি গোলাম নওজব চৌধুরী পাওয়ার ও বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির সদস্য রূপা রায় চৌধুরী।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে সাতজনের মধ্যে চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আপিল করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর এ আসনের সংসদ সদস্য মো. একাব্বর হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ৩০ নভেম্বর আসনটি শূন্য দেখিয়ে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ২০ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৭ ডিসেম্বর। আগামী ১৬ জানুয়ারি এ সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।