পটুয়াখালীতে চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা
পটুয়াখালীর দুটি উপজেলায় চতুর্থ ধাপে সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভোট হয়। এর মধ্যে রাঙ্গাবালী উপজেলার চারটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও কলাপাড়া উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে দুটিতে স্বতন্ত্র ও একটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ হয়। পরে গণনা শেষে রাতে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বেসরকারি ফলাফলে জানা গেছে, কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের মো. বাবুল মিঞা আট হাজার ৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখার মো. আনোয়ার শিকদার পেয়েছে ছয় হাজার ৫০ ভোট। টিয়াখালী ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা চার হাজার ১০৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের মো. মশিউর রহমান পেয়েছে তিন হাজার ১৪৬ ভোট। চাকামইয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (বিএনপি) ঘোড়া প্রতীকের মো. মজিবুর রহমান দুই হাজার ৯৮৮ পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখা প্রতীকের আব্দুল জলিল মিয়া পেয়েছে দুই হাজার ৬৪২ ভোট।
এ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে ইউনিয়নের ২৭টি ভোট কেন্দ্রে ৪৯ হাজার ৭৫৩ জনের মধ্যে শতকরা ৭৪ ভাগ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
এদিকে রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের মু. জাহিদুর রহমান দুই হাজার ৪৭৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখা প্রতীক পেয়েছে এক হাজার ৫২০ ভোট। চরমোন্তাজ ইউনিয়নে এ কে শামসুদ্দিন আবু মিয়া পাঁচ হাজার ৬৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম হাতপাখা প্রতীকের মনিরুজ্জামান মনির পেয়েছেন তিন হাজার ২৯৭ ভোট। রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের সাইদুজ্জামান মামুন খান বিজয়ী হয়েছে। ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের এ বি এম আবদুল মান্নান বিজয়ী হয়েছেন।
এ উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ৩৯টি ভোটকেন্দ্রে ৬৩ হাজার ১৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।