শরীয়তপুরে নির্বাচনি প্রতিহিংসায় সংঘর্ষ, আহত ২০
শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিজয়ী ও পরাজিত সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের তেঁতুলিয়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর ডোমসার ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হয়। নির্বাচনে ছয় নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে আলী আজগর খান মোরগ মার্কা ও মতিউর রহমান ছৈয়াল তালা মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে আলী আজগর খান বিজয়ী হন।
জয়-পরাজয় নিয়ে উভয়পক্ষের লোকজন খিলগাঁও গ্রামে জলিল খাঁ ও সিকদারের ইটের ভাটায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া করে। পরে দেশীয় অস্ত্র টেঁটা, ডাল, ইট, সেনদা, রামদা, চাইনিজ কুড়াল, বোমা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন রেজাউল হক ব্যাপারী (৪৫), ইমরান মাদবর (৩২), ইদুল কোতোয়াল (১৮), সবুজ মুন্সী (৩০) ও ফয়সাল মুন্সী (২২)। তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বিজয়ী প্রার্থী আলী আজগর খান বলেন, ‘জয়ী হয়ে এলাকার লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে যাই। আগে থেকেই মতিন ছৈয়ালের লোকজন আমাদের ওপর হামলার জন্য প্রস্তুত হয়ে ছিল। আমি যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা হামলা চালায়। এখন কিছু বলতে পারব না।’
পরাজিত প্রার্থী আব্দুল মতিন ছৈয়াল বলেন, ‘আমার লোকদের ওপর হামলা চালায় আলী আজগরের লোকজন। আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।’
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, ডোমসার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত ও বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।