শীতে দীর্ঘক্ষণ এসি ব্যবহারে কী কী সমস্যা হতে পারে
তাপমাত্রা কমতে থাকায় বাড়ছে কুয়াশা, ফলে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। রোগবালাই না হলে শীত খুব উপভোগ্য ঋতু। তবে এই সময় ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ হওয়ার জন্য এটি এমনিতেই একটি ঝুঁকিপূর্ণ ঋতু। আর শীতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র বা এসি ব্যবহার করলে এই ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়। দেখা গেছে বছরের অধিকাংশ সময়ই এসিতে থাকার বদ অভ্যাস হয়ে গেছে মানুষের। অফিস, মার্কেট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়িসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে আরামদায়ক পরিবেশে কাজ করার জন্য এসি ব্যবহার করা হচ্ছে।
তবে যারা শীতের সময় অধিকাংশ সময় এসিতে থাকেন, তাঁদের স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যা হয়। এটি শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে। তাই শীতে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে এসি বন্ধ রাখাই উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক, শীতে এসি ব্যবহারের সমস্যাগুলোর কী কী।
অ্যাজমা ও অ্যালার্জির সমস্যা
শীতে অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা এমনিতেই বেড়ে যায়। আর শীতে দীর্ঘসময় এসি রুমে থাকলে অ্যাজমা আর অ্যালার্জি বেড়ে যেতে পারে। দেখা গেছে, এসিগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা না হলে অ্যাজমা আর অ্যালার্জি হওয়ার প্রবণতা অনেকটা বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, অ্যাজমার রোগীদের শীতের সময় এসির মধ্যে না থাকাই ভালো। এই সময়ে এসির মধ্যে বেশি ধুলা এবং ময়লা জমে। আর এসি পুনরায় ছাড়ার পর ধুলা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এটি শ্বাস নিতে সমস্যা তৈরি করে।
শুষ্ক ত্বকের কারণ এসি
শীত এমনিতেই ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। শীতের সময় এসি ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা আরো বেড়ে যায়। এসির শুষ্ক ও শীতল বাতাস ত্বককে শুষ্ক করে, পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতাও নষ্ট করে। দেখা দিতে পারে চুলকানির সমস্যাও।
সংক্রমণ
শীতের সময় এসি ব্যবহার করলে ঘর দূষিত হয়ে পড়ে। এই সময় ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস ও ভাইরাস বেশি বৃদ্ধি পায়। তাই শীতকালে এসি ব্যবহার করলে ঘরের মধ্যে এগুলোর পরিবহন বেড়ে যায়। এতে সংক্রমণ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
চুলকানি
শীতে এসি ব্যবহার করলে চুলকানির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। ত্বক বেশি শুষ্ক হয়ে যাওয়ার জন্য এই চুলকানি হয়।
পানিশূন্যতা
শীতের সময় টানা এসির ব্যবহার শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে। পানিশূন্যতা বড় ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই এ সময় এসি এড়িয়ে যেতে পারলেই ভালো।
তথ্যসূত্র : বোল্ডস্কাই