পূজায় ফ্যাশন দেশীয় পোশাকে
চলেই এল শারদীয় দুর্গাপূজা। অকাল বোধনের উৎসবে একদিকে যেমন চলে মা দুর্গার পূজা, অন্যদিকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বিভিন্ন মণ্ডপ ঘুরে ঘুরে দুর্গামূর্তি দেখা। দশমীর আগ পর্যন্ত প্রতিদিন তাই ভিন্ন পোশাক চাই অনেকেরই। বিভিন্ন দিন ভিন্ন ভিন্ন পোশাকের ফ্যাশন নিয়ে হাজির আছে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো। পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিংমলের সপ্তম তলাতে ‘দেশীদশে’ মিলে যাবে আপনার পছন্দের সব দেশীয় পোশাক। চলুন জেনে নিই তাদের আয়োজনের কথা।
‘রঙ’
পোশাকেনতুনত্ব নিয়ে এসেছে দেশীয় ফ্যাশন হাউস ‘রঙ’। সাদা আর লালের প্রাধান্য তো থাকছেই তবে শারদীয় আয়োজনে এবার রঙ এনেছে বিপুল বৈচিত্র্য। কাপড় পরে যেন আরাম বোধ হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে সুতি, লিলেন, হাফসিল্ক, সিল্ক, কটন, মসলিন এমনকি তাঁতের উপরে রয়েছে মন্দির, আলপনা, ঘোড়া, মা দুর্গা, ওম, পোড়ামাটির নকশা। পোশাকের নকশাতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে শারদীয় উৎসবের ছোঁয়া। মেয়েদের জন্য রয়েছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, আর ছেলেদের জন্য উৎসব উপলক্ষে থাকছে ধুতি-পাঞ্জাবি, টি-শার্ট ও উত্তরীয়। সুতি কাপড়ের চাহিদা বেশি থাকলেও অন্য কাপড়ের পোশাকও কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা।
দাম কেমন পড়বে : মেয়েদের সালোয়ার-কামিজ কিনতে দাম পড়বে দুই হাজার ২০০ থেকে ৮ হাজার টাকা, সিঙ্গেল কুর্তি এক হাজার ২০০ থেকে চার হাজার টাকা, শাড়ির ক্ষেত্রে তাঁতের ও সুতির শাড়ি ৫০০ ও এক হাজার ২০০ টাকা। মসলিন ও জামদানি শাড়ি কিনতে দাম বেশি গুনতে হবে।
অঞ্জন’স
অঞ্জন’স বাঙালির ঐতিহ্যেকে তুলে ধরছে বিচিত্র নকশায়। শুভ্র রঙের পাশাপাশি উজ্জ্বল রঙে সাজানো হয়েছে অঞ্জন’স ফ্যাশন হাউজের পোশাকগুলোকে। পরিবারের সব সদস্য ও যুগলদের জন্য অঞ্জন’স এবারও তৈরি করেছে বিশেষ পোশাক। ক্রেতাদের আগ্রহকেই প্রাধান্য দিয়েছে এই ফ্যাশন হাউসটি।
এদের শাড়িতে যেমন রয়েছে নতুনত্ব, তেমনি ব্লাউজের হাতায় থাকছে নানা রকম নকশা ও কুঁচি। পুরোনো নকশাকেই তারা ফিরিয়ে এনেছেন নতুন আঙ্গিকে। শাড়ি, কামিজ, কুর্তি, ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি ও শিশুদের পোশাকে রয়েছে বাহারি সব নকশা।
দাম কেমন পড়বে : হাতে নকশা করাসুতির ব্লাউজের দাম পড়বে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। কটন, সুতি ও তাঁতের শাড়ির দাম অবশ্য হাতের নাগালেই রয়েছে। সালোয়ার কামিজ রয়েছে তিন হাজার থেকে আট হাজার টাকা মধ্যে এবং কুর্তি পেয়ে যাবেন এক হাজার ৩০০ থেকে দুই হাজার ২৯৫ টাকাতে।
বাংলার মেলা
শুভ্রতার ছোঁয়া তো আছেই, তার সঙ্গে উজ্জ্বল রঙে পূজার আমেজ মিশ্রিত পোশাকের সংগ্রহ নিয়ে এসেছে বাংলার মেলা। ছেলেদের পাঞ্জাবি, ফতুয়াতে রয়েছে মনকাড়া সব নকশা আর মেয়েদের শাড়ি সালোয়ার-কামিজে থাকছে পূজার আমেজ। সুতি, তাঁত, সিল্ক, হাফ সিল্ক, লিলেনের উপর নান্দনিক কাজের নকশা করা শাড়ি ভালো লাগবে ক্রেতাদের। সময়োপযোগী ও শরতের সঙ্গে মিলিয়েই এবারের পোশাকগুলো তৈরি করেছে তারা।
দাম কেমন পড়বে : ছেলেদের পাঞ্জাবি পাওয়া যাবে সাধ্যের মধ্যেই, দাম পড়বে ন্যূনতম এক হাজার ৫০ টাকা, ফতুয়ার দাম সর্বনিম্ন পড়বে ৩৫০ টাকা। বিভিন্ন দামের শাড়িও রয়েছে এই্ হাউসে। তবে বাজেটের মধ্যেই পেয়ে যাবেন সুতি ও তাঁতের শাড়ি। সবচেয়ে কম দামি শাড়ির দাম ৫৫০ টাকা। এ ছাড়া কটন, সিল্ক ও হাফ সিল্কের শাড়ি কিনতে গেলে দামটা একটু বেশি পড়বে।
সাদাকালো
‘মা দেবীর’থিমফুটে উঠেছে সাদাকালোর পোশাকে। সিল্ক, হাফ সিল্ক, সুতি কাপড় দিয়ে তৈরি পোশাকগুলোতে রয়েছে বৈচিত্র্যের সমাহার। মেয়েদের শাড়ির আঁচল, কামিজ, সিঙ্গেল কামিজ, কুর্তি ও ছেলেদের পাঞ্জাবি, ফতুয়া এমনকি উত্তরীয়তে শোভা পাচ্ছে শরৎ ও পূজা। নকশাতে ব্যবহার করা হয়েছে ব্লক, স্ক্রিনপ্রিন্ট ও এম্ব্রয়ডারিসহ হাতের কাজের নকশা।
দাম কেমন পড়বে : কটন, বিসকস কটন, লিলেন, সিল্ক , হাফ সিল্ক ও মসলিন শাড়ি কিনতে দাম পড়বে তুলনামূলকভাবে বেশি। তবে সিল্কের শাড়ি পাবেন সাত হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে। মেয়েদের সালোয়ার-কামিজ পাওয়া যাবে তিন হাজার থেকে আট হাজার টাকার মধ্যে। এ ছাড়া কুর্তির দাম পড়বে সর্বনিম্ন এক হাজার ৫০০ টাকা।