ফ্রিজে যেসব খাবার রাখলে বিপদের কারণ হতে পারে
কাঁচা সবজি, রান্না করা খাবার, ফল, মিষ্টি ১ থেকে ২ দিন টাটকা রাখতে ফ্রিজে রাখতে পারেন। ব্যস্ততার সময়ে ফ্রিজই হলো নিরুপায়ের একমাত্র অবলম্বন। একেবারে বেশি করে খাবার তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিলেই নিশ্চিন্ত। পরের দু’-চারদিন রান্না করা থেকে ছুটি। তবে ফ্রিজে খাবার রাখারও কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডিম্পল জাংড়া বলছেন, সব খাবার ফ্রিজে রাখা যায় না। এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলো ফ্রিজে রাখলে উল্টে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। জেনে নিন, যেসব খাবার ফ্রিজে রাখা যায় না।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজের মধ্যে থাকা স্টার্চ ফ্রিজের ঠান্ডায় শর্করায় রূপান্তরিত হয়ে যায়। এটি টাটকা তো থাকেই না, উল্টে তার মধ্যে ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক বাসা বাঁধতে শুরু করে। অনেক সময়ে খালি চোখে তা দেখাও যায় না। ফ্রিজে রাখা সেই পেঁয়াজ খেলে পেটের সমস্যা হতেই পারে। তাই খোসাসহ পেঁয়াজ কখনোই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। তবে সালাদের জন্য কেটে রাখা পেঁয়াজ বা রান্নাতে দেওয়ার জন্য বাটা পেঁয়াজ বায়ুরোধী বোতলে ভরে অবশ্যই ফ্রিজে রাখা যায়।
ভাত
অনেকের ধারণা, ফ্রিজে রাখা ভাত খেলে নাকি কোলেস্টেরল ও শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে এই ধারণা ঠিক নয়। ভাতে খুব তাড়াতাড়ি ছত্রাক বাসা বাঁধে, তা থেকে পেটের সমস্যা হতেই পারে। তাই ভাত ২৪ ঘণ্টার বেশি ফ্রিজে না রাখাই ভাল।
রসুন
বাজারে এখন ছাড়ানো রসুনের কোয়া কিনতে পাওয়া যায়। ছাড়ানো রসুন কিনে কিংবা রসুন বেটে কখনোই ফ্রিজে রাখবেন না। ছাড়ানো রসুনে খুব তাড়াতাড়ি ছত্রাক বাসা বাঁধে। এই প্রকার ছত্রাক থেকে ক্যানসারের আশঙ্কাও রয়েছে। তাই বাজার থেকে গোটা রসুন কেনাই ভাল। রান্নার ঠিক আগেই রসুন ছাড়িয়ে তা ব্যবহার করুন।
আদা
আদাও ফ্রিজে রাখা মোটেই উচিত নয়। ফ্রিজে রাখলে আদার উপরেও ছত্রাক বাসা বাঁধে। সেই আদা রান্নায় ব্যবহার করলে কিংবা কাঁচা খেলে কিডনি ও লিভারের রোগ হতে পারে।