সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। সুনামগঞ্জ সদর ও ছাতকের পৌর এলাকায় সড়কে উঠেছে পানি। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বেশ কিছু অঞ্চল। ছাতকের পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। এদিকে, সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ।
ছাতকে এরই মধ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বলে এনটিভি অনলাইনকে জানান জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
একইভাবে সুনামগঞ্জে পৌর শহরের তেঘরিয়া, বড়পাড়া এলাকায় পানি ঢুকে পড়ায় বেশ বিপাকে পড়েছেন শহরের মানুষ। এ ছাড়া মধ্যবাজারের দোকান ঘরেও বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।
সরজমিনে দেখা যায়, সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ও ছাতক অংশে ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বন্যায় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সরকারের সহায়তা পাঠানো হচ্ছে। ছাতক, দোয়ারাবাজার ও তাহিরপুর উপজেলায় উপজেলায় ১৫ মেট্রিকটন জিআর চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জাহাঙ্গীর হোসেন আরও জানান, এ বন্যা খুব বেশি স্থায়ী হবে না। এই পানি খুব তাড়াতাড়ি নেমে যেতে পারে। তারপরও পরিস্থিতি খারাপ হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিদর্শনা দেওয়া আছে।