হাক্কানি পাল্পের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হাক্কানি পাল্প এন্ড পেপার মিলসের শেয়ারহোল্ডারদের ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটি ২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের (জুলাই-জুন) আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (৫ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, ২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে হাক্কানি পাল্পের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৯ পয়সা। অবশ্য আগের অর্থবছরে (২০২১-২০২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৩০ পয়সা। সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) ৪ টাকা ৬৩ পয়সা। আগের অর্থবছরের ছিল নেগেটিভ ৮ পয়সা। চলতি অর্থবছরের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৪৫ পয়সা (পুনর্মূল্যায়নসহ)। ওই সময় এনএভিপিএস ১১ টাকা ৩০ পয়সা (পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া)। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ ডিসেম্বর। লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বিতরণে কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৪ নভেম্বর।
একইদিনে চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। এই প্রান্তিকে আয় বেড়েছে। কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ২ পয়সা। আগের অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৪৫ পয়সা। ওই সময় এনওসিএফপিএস হয়েছে ১ দশমিক ১২ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এনওসিএফপিএস ছিল ১৭ পয়সা। চলতি অর্থবছরের ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৪৯ পয়সা (পুনর্মূল্যায়নসহ)। ওই সময় এনএভিপিএস ১১ টাকা ৪৪ পয়সা (পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া)।
প্রথম প্রান্তিকে আয় বৃদ্ধির কারণ প্রসঙ্গে কোম্পানিটি জানায়, আগের অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানির লোকসানে ছিল। কিন্তু চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সেই লোকসান কাটিয়ে মুনাফায় চলে এসেছে। বিক্রয় বৃদ্ধির কারণে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে। একই সঙ্গে কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আয়ের একটি অংশ রাখা হয়। এতে এনওসিএফপিএসে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।