বিমানবাহিনীর কার্যক্রমে পরিবর্তন আনতে হবে
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় নতুন নতুন কৌশল নেওয়া হচ্ছে। এতে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা ও দায়িত্বে যোগ হচ্ছে নতুন মাত্রা। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিমানবাহিনীর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ কার্যক্রমেও পরিবর্তন আনতে হবে।
আজ বুধবার দুপুরে যশোরে বিমানবাহিনীর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটির ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে রাষ্ট্রপতি প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে তাঁকে সালাম দেওয়া হয়। পরে তিনি প্যারেড পরিদর্শন ও বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটিকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড দেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আবদুল হামিদ বলেন, বিমানবাহিনীর কার্যক্রমের প্রতিটি পর্যায়ে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিফলন ঘটাতে হবে। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি গবেষণায়ও মনোযোগী হতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটির ২১০ রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট বাংলাদেশের প্রথম আইএসও সনদপ্রাপ্ত বিমান ওভারহোলিং প্রতিষ্ঠান। এই ইউনিটটি নিজস্ব কারিগরি জনবলের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১২২টি পিটি-৬ বিমানের ওভারহোলিং কাজ সম্পন্ন করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করেছে। কার্যদক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ চীনের জিলিন এভিয়েশন এই ইউনিটকে সার্টিফিকেট অব প্রফেশনাল এক্সিলেন্স প্রদান করে।
আবদুল হামিদ বলেন, এসব ধারাবাহিক অর্জন ও কৃতিত্বের স্বীকৃতি হিসেবে আজ বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল।
অনুষ্ঠানে বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল আবু এসরার, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটির অধিনায়ক এয়ার কমোডর মো. শফিকুল আলম, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মণি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।