শিক্ষক হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে কফিন মিছিল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কফিন মিছিল করেছেন ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কফিন মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে শিক্ষক সমিতির সমাবেশে মিলিত হয়।
মিছিল চলাকালে ‘জাগো রে জাগো, মানুষ জাগো’; ‘আমার স্যার মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’; ‘এসো ভাই-এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন, খুনিদের বিরুদ্ধে গড়ে তুলি আন্দোলন’; ‘জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো’; ‘খুনিরা ঘুরছে কেন, প্রশাসন জবাব চাই’; ‘চুপ করে থাকলে খুন হবে এভাবে’ এ রকম অসংখ্য স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ।
অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যার আগেও ২০০৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইউনুস, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ ও ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর সমাজবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপক শফিউল ইসলামকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এই কফিন মিছিলে রাবির চার শিক্ষকের হত্যার প্রতিবাদে চারটি কফিন বহন করেন আন্দোলনকারীরা।
কফিন মিছিল সম্পর্কে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তমাশ্রী দাস বলেন, ‘একের পর এক লাশের মিছিল বাড়ছে। রেজাউল করিম স্যারের কফিন যখন আমাদের ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয়, সেই যে ভয়ংকর মুহূর্ত তা আমাদের পক্ষে ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। আর আমরা যদি এসব হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ না জানাই, তাহলে এসব হত্যাকাণ্ড থামবে না। বাড়তে থাকবে কফিনের সংখ্যা। এই প্রতীকী কফিন মিছিল সেসব হত্যার প্রতিবাদে।’
রেজাউল করিম হত্যার বিচারের দাবিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতিসহ ইংরেজি, বাংলা, সমাজকর্ম, সমাজবিজ্ঞান, প্রাণিবিদ্যা, ভূতত্ত্ব, খনিবিদ্যাসহ বিভিন্ন বিভাগ প্রতিবাদ মিছিল-সমাবেশ করেছে। এ ছাড়া রাবি শিক্ষক সমিতি সমাবেশ করছে।
গত ২৩ এপ্রিল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাবির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে টানা নয় দিনের মতো আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।