ঢাবির ১২ শিক্ষার্থী পেলেন অধ্যাপক সিতারা পারভীন পদক
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। হতাশা পেছনে ফেলে অমিত সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগানোর পরামর্শও দেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার হলে ব্যাচেলর অব স্যোশাল সায়েন্স (বিএসএস) পরীক্ষায় কৃতী শিক্ষার্থীদের মাঝে অধ্যাপক সিতারা পারভীন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন উপাচার্য।
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সমাজের কুসন্তানরা সমাজকে কলুষিত করছে। এই অপকর্ম নিরসনে প্রতিরোধ যুদ্ধে শরিক হতে হবে সবাইকে।
অনুষ্ঠানে ‘অধ্যাপক সিতারা পারভীন স্মারক বক্তৃতা’ দেন পরিবেশ ও মানবাধিকার গবেষক ফিলিপ গাইন। সভাপতিত্ব করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মফিজুর রহমান।
২০০৫ সালের ২৩ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমদের মেয়ে অধ্যাপক সিতারা পারভিন। তাঁর মৃত্যুর পর থেকে প্রতিবছর বিভাগের উদ্যোগে সম্মান পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা হয়।
সেই ধারাবাহিকতায় আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৫ সালের বিএসএস (সম্মান) পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফল অর্জন করায় ১২জন শিক্ষার্থীকে ‘অধ্যাপক সিতারা পারভীন পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কারের চেক তুলে দেন।
পুরস্কার পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- মনিরা বেগম, নুজায়রা তারান্নুম, মালিহা তাবাসসুম, তানজিনা তানিন, আলী আহসান, এমরান হোসেন, মো. আশরাফুল গনি, মেহেদী হাসান, মাহমুদুল হাসান, মো. জাহিদ-ই-হাসান, বাপ্পী কুমার পাল ও শামীমা সুলতানা।