লোহাগড়ায় জিতলেন আ. লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী
নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) আশরাফুল আলম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। লোহাগড়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল আলম পেয়েছেন ছয় হাজার ৬৫৯ ভোট।
তাঁর নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী লিপি খানম নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন চার হাজার ৪৩৩ ভোট।
লোহাগড়া পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন রাতে এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে লোহাগড়া পৌর নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে নির্বিঘ্নে ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাররা ভোট দেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌরসভার আরএলপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গোপীনাথপুর গ্রামের সেলিম সরদার (৩৫) ও খলিশাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে রাজাপুর গ্রামের জাহাঙ্গীরকে (৪০) ভোটকেন্দ্রে প্রভাব সৃষ্টির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম জাহিদুল আলমের নির্দেশে আটক করা হয়। তাঁরা দুজনই নৌকা প্রতীকের এজেন্ট। এ ছাড়া নির্বাহী হাকিম জাহিদুল আলম লোহাগড়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নৌকার পক্ষে ১৫টি জাল ভোটসহ মুরাদ নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেন।
লোহাগড়া পৌরসভায় মেয়র পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী লিপি খানম , বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নেওয়াজ আহম্মদ ঠাকুর, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী আশরাফুল আলম ও শরিফুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১২ নারী কাউন্সিলর পদপ্রার্থী এবং সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
লোহাগড়া পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৬৩৬ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১০ হাজার ৫৯২ এবং পুরুষ ভোটার ১০ হাজার ৪৪ জন। ৯টি ওয়ার্ডে মোট ১১টি ভোটকেন্দ্রে ১১ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৫৮ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ১১৬ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিটি কেন্দ্রে একজন কর্মকতাসহ ১০ জন সশস্ত্র পুলিশ ও আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক এবং আটজন পুলিশের একটি ভ্রাম্যমাণ দল টহলরত ছিল। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র্যাবের একটি দল এবং এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন ছিল। এ ছাড়া সাতটি ভ্রাম্যমাণ আদালত নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করেছেন।