নামের পর ভাই না বলায় মারধর!
নামের পর ভাই না বলায় এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. শামসুজ্জোহা হলের ৩১৬ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর নাম শিলু হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর (২০১২-১৩ সেশন) শ্রেণির শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. শামসুজ্জোহা হলে থাকেন।
অভিযোগ ওঠা নেতার নাম বরজাহান। তিনি ড. শামসুজ্জোহা হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মারধরের বিষয়ে শিলু হোসেন বলেন, ‘আজ ফারুক হত্যা দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচিতে যাওয়ার জন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রুমে রুমে ছাত্রদের ডেকে যায়। আমি একটা বই পড়ছিলাম, আর একটু পড়লেই শেষ হবে। শেষ করেই আমি উঠব যাওয়ার জন্য। এর মধ্যে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বরজাহান আসেন ডাকতে। আমি বললাম, একটি বই পড়ছি, দুই-এক মিনিটের মধ্যেই শেষ হবে। শেষ করেই আসছি। এর মধ্যে উনি বললেন, “আমাকে চেন?’ আমি বলি- চিনি। আমাকে তাঁর নাম বলতে বললে, আমি তাঁর নাম বলি। কিন্তু তাঁর নামের সঙ্গে ‘ভাই’ না বলায় তিনি আমাকে মারধর শুরু করেন। মাথায় কিল-ঘুষি, পেটেও লাথি মারতে থাকেন তিনি।”
হুমকি দিয়ে গেছেন উল্লেখ করে শিলু হোসেন বলেন, বরজাহান এ সময় ছাত্রলীগের অন্য নেতাকর্মীদের বলেন, ‘কক্ষ নম্বর দেখে রাখ, পরে ওকে দেখছি।’
এ বিষয়ে ড. শামসুজ্জোহা হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বরজাহান বলেন, ‘আজকে আমাদের কর্মসূচি ছিল। কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য আমাদের ছেলেপেলে গিয়ে ডাকাডাকি করে। আমিও পরে ডাকতে গেছি। শিলুকে ডাকতে গেলে ও আমার সঙ্গে বেয়াদবি করেছে। তাই আমি তাকে ধাক্কা দিয়েছি, মারিনি।’
এ বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘আমি প্রত্যেক হলের নেতাকর্মীদের বলে এসেছি কাউকে জোর করে অনুষ্ঠানে আনা যাবে না। শিক্ষার্থীদের আসার জন্য বলবে, শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় এলে ভালো। না এলে সমস্যা নেই। তারপরও এ রকম একটা ঘটনা ঘটে গেছে। আমি তাদের সঙ্গে আমাদের অনুষ্ঠান শেষে বসব, বসে বিস্তারিত জানার পর ব্যবস্থা নেব।’