ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ঢাবির ছাত্রকে ছুরি মারার অভিযোগ
মেসের খাবারকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের এক শিক্ষার্থীকে ছুরি মেরে আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
আহত ওই শিক্ষার্থীর নাম ওমর ফারুক। তিনি ঢাবির চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী, দায়িত্ব পালন করতেন হলের একটি মেসের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) হিসেবে। আর যে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ছুরি মারার অভিযোগ উঠেছে, তাঁর নাম আবু তালহা। তিনি আগের কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। এখন তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বলে পরিচয় দেন বলে হল সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, হলের মেসে (ঐতিহ্য) একজনের খাবারের টাকায় তিনজনের খাবার নেওয়ায় বাধা দিলে তালহা নামের ওই ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুককে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। এতে বাঁ হাতে আঘাত পান ওই শিক্ষার্থী। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই চিকিৎসা নিয়ে হলে ফেরেন ওমর ফারুক।
আহত ওমর ফারুক আজ বুধবার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতা তালহার এক ছোট ভাই রাতে হলের মেস থেকে খাবার নিতে আসে। তিনি একজনের খাবারের টাকা দিয়ে তিনজনের খাবার নিয়ে যাচ্ছিলেন। এতে আমি বাধা দিই। পরে তালহা এসে আমাকে গালিগালাজ করেন এবং একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। এতে আমার বাঁ হাত কেটে যায়। পরে অন্যরা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে ছাত্রলীগ নেতা আবু তালহার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটির সদস্যরা ঘটনার সত্যতা যাচাই করে একটা প্রতিবেদন দেবেন। সেটা আমরা উপাচার্য স্যারের কাছে দেবো। পরে উনি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন।’
সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখার সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা রাত ৩টা পর্যন্ত সেখানে ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আমরা সেই কমিটিকে সহায়তা করব। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ওই ছাত্রের চিকিৎসার খরচ বহন করা হয়েছে।’
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, ‘আমি ঘটনার বিষয়ে জানি না। তবে খোঁজ নেব।’