মারধরের শিকার ছাত্রলীগকর্মীকে বহিষ্কার
দুদিন আগেই নিজ সংগঠনের নেতাদের হাতেই মারধরের শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রলীগের কর্মী সাগর রহমান। এবার সাগরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সাগরকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়। সাগর দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি এফ রহমান হলে থাকেন।
গত মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই’ দাবিতে আন্দোলন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ওই মিছিলে সাগরও ছিলেন। এরই একপর্যায়ে সাগরকে মারধর করতে করতে কলাভবন থেকে মধুর ক্যান্টিনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স। সেখানেও সাগরকে মারধর করা হয়।
ঘটনার দিন এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘সাগর আগেই ছাত্রলীগ নেতাদের গায়ে হাত তোলেন এমনকি সে বিদ্যুৎ ও উজ্বলকে মারে।’
তবে সাধারণ সম্পাদকের কথা ঠিক নয় বলে জানান সাগর। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘তাঁরা আমার সিনিয়র। আমি তাঁদের মারিনি। আমাকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
কী কারণে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাও জানেন না সাগর।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সকে একাধিকবার কল দিলে তাঁদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘সাগরকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিষ্কার করা হয়েছে।’ তবে কোন ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে তা বলতে পারেননি সোহাগ। তিনি বলেন, ‘দলের অভ্যন্তরীণ নানা ধরনের শৃঙ্খলার বিষয় থাকতে পারে। সে কারণে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
জানা যায়, মঙ্গলবার আন্দোলন শেষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী দেখা করতে যান। এ সময় তাঁদের পেছনে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি আব্দুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিদ্যুৎ ও সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জ্বলসহ আরো বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ছিলেন। এ সময় প্রক্টরের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কথা বললে ছাত্রলীগের নেতারা কথা না বলার আদেশ দেন। পরে প্রক্টর গোলাম রব্বানী চলে গেলে ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ, বিদ্যুৎ ও উজ্জ্বল সাগরকে মারতে মারতে মধুর ক্যান্টিনে নিয়ে আসেন।