পরস্পরকে মিষ্টি মুখ করাল বিজিবি-বিএসএফ
স্বাধীনতা দিবসের আনন্দঘন মুহূর্ত ভাগাভাগি করে নিতে একে অপরকে মিষ্টি মুখ করাল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)।
আজ সোমবার সকাল ১০টায় হিলি সীমান্তের আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট গেটের শূন্যরেখায় বিজিবির পক্ষ থেকে এই আয়োজন করা হয়।
বিজিবির এই আয়োজনের আগে থেকেই সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন বিএসএফের সদস্যরা। এ সময় উভয়বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডাররা স্যালুটের মাধ্যমে নিজেদের সম্মান জানান।
এরপর বিজিবি শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএসএফের হিলি বিওপির কোম্পানি কমান্ডারের হাতে মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন। এর কিছুক্ষণ পর বিএসএফও মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন হিলি সিপি বিওপির বিজিবির হাতে।
এ সময় একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলিও করেন তাঁরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি ও বিএসএফের নারী সদস্যরাও। তাঁরা পরস্পরের সাথে মিষ্টির প্যাকেট বিনিময় করেন।
এই আনন্দঘন মুহূর্তের স্বাক্ষী হন অনেকেই। দুই দেশের আসা-যাওয়ার সময় পাসপোর্ট যাত্রীসহ স্থানীয়রা বন্ধুত্বের এই দৃশ্য দেখেন।
বিজিবির হিলি চেকপোস্ট ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আবু নাছির বলেন, ‘অনেক ত্যাগ-তীতিক্ষার বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। সীমান্তে উভয় বাহিনীই নিজ নিজ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছে। তাই বিজিবি এবং বিএসএফ আমরা এই আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে এই ছোট আয়োজন করি।’
এই কমান্ডার আরো বলেন, ‘বিএসএফের রায়গঞ্জ সেক্টর কমান্ডার ও পতিরাম ১৯৯ ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের নামে পাঁচটি মিষ্টির প্যাকেট দেওয়া হয়েছে। পক্ষান্তরে তাদের পক্ষ থেকেও আমাদের মিষ্টির প্যাকেট দেওয়া হয়।’
এদিকে বিএসএফের হিলি ক্যাম্পের সহকারী অধিনায়ক হাপুনি কাশে বলেন, ‘বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবিকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছি। বাংলাদেশ আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ। আমরা উভয়েই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আন্তরিকতার সঙ্গে সীমান্তে কাজ করছি। এই ধরনের আয়োজন আমাদের মধ্যে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করবে।’