কয়লা গায়েবের ঘটনায় চার কর্মকর্তার শাস্তি
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কোম্পানি লিমিটেডের ২২৭ কোটি টাকা মূল্যের ১ লাখ ৪২ হাজার টন কয়লা গায়েব হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পেট্রোবাংলা। গঠন করেছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।
গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় পেট্রোবাংলার এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) নুরুজ্জামান চৌধুরী ও উপমহাব্যবস্থাপক (স্টোর) খালেদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমদকে অপসারণ করে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও কোম্পানি সচিব) আবুল কাশেম প্রধানিয়াকে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড সিরাজগঞ্জে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে। বড়পুকুরিয়া খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পেট্রোবাংলার পরিচালক আইয়ুব খানকে। পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন) কামরুজ্জামানকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি সূত্র জানায়, খনির ইয়ার্ডে বর্তমানে কয়লা থাকার কথা প্রায় দেড় লাখ টন। কিন্তু মাত্র পাঁচ-ছয় হাজার টন কয়লা আছে। অর্থাৎ এক লাখ ৪২ হাজার টন কয়লার কোনো হদিস নেই। কয়লার অভাবে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পথে। এ বিষয়টি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) পেট্রোবাংলাকে জানালে কয়লা উধাও হওয়ার ব্যাপারটি প্রকাশ্যে আসে।
কয়লা গায়েবের ব্যাপারে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এনটিভির ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।