ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থী তিনদিন ধরে হাসপাতালে
কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার কাতরাশিন গ্রামে ধর্ষণের শিকার হন এক কলেজছাত্রী। গুরুতর অবস্থায় তিনদিন ধরে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
ওই ছাত্রীর স্বজনদের অভিযোগ, গত শনিবার দুপুরে সহপাঠী আবিদুল মোল্লা দুদু (১৮) কাতরাশিন গ্রামের নাজমা বেগমের (২৮) বাড়িতে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। একই গ্রামে থাকে আবিদুল। সে শিবালয় সদর উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
কলেজছাত্রীর বাবা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, তাঁর মেয়ে কাতরাশিন গ্রাম দিয়ে হেঁটে উথলী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে গাড়িতে করে কলেজে যাওয়া-আসা করে। কিছুদিন ধরে আবিদুল কলেজে ও পথে তাঁর মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলেজ থেকে নাজমার বাড়ির পাশের সড়ক দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল তাঁর মেয়ে। এ সময় আবিদুল ও নাজমা মেয়েটিকে মুখ চেপে ধরে বাড়ি নিয়ে যায়। সেখানে নাজমার সহযোগিতায় মেয়েটিকে ঘরের ভেতর আটকে রেখে ধর্ষণ করে আবিদুল। পরে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তার এক বান্ধবীকে ডেকে আনে আবিদুল। ওই বান্ধবী রিকশায় করে মেয়েটিকে স্থানীয় উথলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানোর কথা বলেন।
ওই ছাত্রের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে তাঁর ছেলে পলাতক ছিল। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তিনি ছেলের সন্ধান পান। তাঁর সঙ্গে কথাবার্তায় ছেলে এ অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক হাজেরা শিরীনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে রহস্যজনক আচরণ করেন। গড়িমসি করে কোনো তথ্যও দেননি।
পরে যোগাযোগ করা হলে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আবদুল মালেক জানান, মেয়েটির চিকিৎসা পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ওই পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পেলে বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ রোববার বিকেলে হাসপাতালে গিয়ে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।