উন্নয়ন দেখে খালেদা জিয়া পালানোর সুড়ঙ্গ খুঁজছে : হুইপ ইকবালুর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতি দেখে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জেলখানায় বসে ক্ষমতার লোভে পালানোর সুড়ঙ্গ খুঁজছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি।
ইকবালুর রহিম বলেন, ‘বিগত দিনে এ দেশের শিক্ষাকে মূর্খের দলের পরিণত করেছিল বিএনপি-জামায়াত। দেশকে নিজেদের করে পেছনের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে। শুধু তাই নয়, এতিমের টাকা আত্মাসাৎ করেছে খালেদা জিয়া।’
আজ শনিবার দিনাজপুর জিলা স্কুল মিলনায়তনে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন হুইপ ইকবালুর রহিম।
হুইপ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর সবক্ষেত্রে উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধন করেছেন। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ গড়েছেন। আগামীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে যাবে।’
শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষা পরিবারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংবেদনশীলতা, সচেতনতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ইকবালুর রহিম বলেন, ‘মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক। শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষকদের পেশাগত ও সামাজিক মর্যাদা সুসংহত করতে মানসম্পন্ন শিক্ষা অর্জন করতে হবে। আর এই চ্যালেঞ্জ অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
হুইপ শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের অবদান উল্লেখ করে বলেন, ‘সরকার প্রতি বছরের প্রথম দিন প্রথম শ্রেণি থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক তুলে দিচ্ছে। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে প্রতি বছরই শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমছে।’
হুইপ ইকবালুর রহিম আরো বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে সারা বিশ্বে শিক্ষার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। মানসম্পন্ন ও গুণগত শিক্ষালাভ করতে না পারলে এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে বাংলাদেশকে শিক্ষিত জাতি হিসেবে পরিচিতি করতে শিক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি এই দায়িত্ব শিক্ষকদেরও নিতে হবে।’
শিক্ষক দিবস উপলক্ষে রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনাসভা, অবসরপ্রাপ্ত গুণী শিক্ষকদের সম্মাননা স্মারক দেওয়ার করা হয়। হুইপ আলোচনার আগে রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
দিনাজপুর জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আহসানুল হক মুকুলের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য মো. রুহুল আমিন, দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আবু বকর সিদ্দিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সানিউল ফেরদৌস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুশান্ত সরকার, এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুস সালাম, দিনাজপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সৈয়দ আহমেদ হোসেন, শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রায়হান কবীর সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান রাজু, কোতোয়ালি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন, দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. আব্দুল ওয়াদুদ মণ্ডল, আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. সৈয়দ রেদওয়ানুর রহমান, জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাতলুবুল মামুন, শিক্ষক সমিতির সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ, জামিয়াতুল মোদারেসিন দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যক্ষ হাসান মাসুদ, দিনাজপুর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আকতারা পারভীন, উত্তর বালুবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেতারা বেগম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শিক্ষক সমিতি জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হাকিম।
আলোচনার আগে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। এর আগে জিলা স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে শিক্ষকদের এক বর্ণাঢ্য র্যালি শহর ঘুরে আসে।