মোবাইল ফোন নিয়ে মায়ের হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় একটি মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে মায়ের হাতে ফাতেমা বেগম (১৪) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর ওই কিশোরীর মা রহিমা বেগমকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ। উপজেলার বিনোদনগর ইউনিয়নের বিনোদনগর গ্রামে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার ভোরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক কুমার চৌহান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কয়েকদিন আগে নবাবগঞ্জ উপজেলার পাঠানগঞ্জে মায়ের সঙ্গে নানাবাড়ি বেড়াতে যায় ফাতেমা। সেখানে এক ছেলে ফাতেমাকে একটি মোবাইল উপহার দেয়। বিষয়টি সে তার মাকে না জানিয়ে গোপন রাখে। গতকাল রোববার বিকেলে বাড়ির আম গাছে আম পাড়তে উঠলে তার মা রহিমা বেগম মোবাইলটি দেখে ফেলেন। পরে তিনি মোবাইলটি ঘরের শো-কেসে রেখে পাশের গ্রামে বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যান। এ সুযোগে ফাতেমা শো-কেসের ড্রয়ার ভেঙে মোবাইলটি বের করে নেয়। পরে বাড়িতে ফিরে বিষয়টি জানার পর লাঠি দিয়ে ফাতেমাকে মারধর করেন রহিমা। একপর্যায়ে মেয়ের গায়ের ওড়না গলায় বেঁধে চাপ দেন। এতে শ্বাসরোধ হয়ে ঘটনাস্থলেই ফাতেমা মারা যায়।
বিষয়টি বুঝতে পেরে রহিমা বেগমকে আটক করে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে আজ সোমবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রহিমাকে আটক করে এবং ফাতেমার মরদেহ উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহত ফাতেমার চাচা আলম মিয়া বাদী হয়ে রহিমা বেগমের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।