উত্তরবঙ্গের বৃহৎ হাটে সামাজিক দূরত্ব ছাড়াই চলছে কোরবানির পশু কেনাবেচা
উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ কোরবানি পশুর হাট দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায়। এই হাটে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা পশু কিনতে আসে। প্রতি শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাইকাররা ছাড়াও কোরবানি পশু কিনতে স্থানীয় ও বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ এ হাটে আসে।
করোনার কারণে এবার মাইকিং, হাটের বাইরে হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা থাকলেও বাস্তবে এই চিত্র দেখা যায়নি।
দিনাজপুর খামারি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল ঘোষ বলেন, 'এবার গরু বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে পারবেন না খামারিরা। অনেক খামারিসহ কৃষকদের গরু বিক্রি করে লোকসান হবে। করোনার কারণে জেলার বেশিরভাগ মানুষ এবার কোরবানি দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।’
হাট ইজারাদার আবু সাঈদ বলেন, 'গত বছর প্রতি হাটে তিন থেকে চার হাজার গরু কেনাবেচা হয়েছে। এবার করোনার কারণে প্রতি হাটে ১৬শ গরু বিক্রি হচ্ছে।'
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গিগারুল আহম্মেদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'আমি হাটেই ছিলাম, আপনি হয়তো আমাকে দেখতে পাননি।'
তবে সামাজিক দূরত্ব না মানা ও মাস্ক না পরার কথা স্বীকার করেন তিনি।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরো বলেন, 'উপজেলা প্রশাসন মাইকিং করে গরুর পাইকার ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।'
অন্যদিকে, দিনাজপুর জেলায় খামারি ও কৃষকদের গরু-বাছুরের মধ্যে লাম্পি স্কিন ডিজিস দেখা দেয়। এ কারণে অনেকেই গরু কোরবানি দিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে কাহারোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরুল হাসান করোনায় আক্রান্ত রয়েছেন। এ কারণে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
জানা যায়, কাহারোল উপজেলায় তালিকাভুক্ত এক হাজার ২০০ খামারি রয়েছে। তালিকা ছাড়া প্রায় পাঁচ হাজার ৪০০ খামারি রয়েছে।