ইউএনওর ওপর হামলায় যুবলীগ নেতা আসাদুল জড়িত : র্যাব
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলীর ওপর হামলার ঘটনায় উপজেলার যুবলীগের সদস্য আসাদুল হক জড়িত বলে দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রংপুরে র্যাব-১৩-এর অধিনায়ক রেজা ফেরদৌস আহমদ আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এ মামলার অভিযুক্ত মূল আসামি মো. আসাদুল হককে আমরা ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করি এবং জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে এই জঘন্যতম ঘটনার সঙ্গে তার নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। এবং এই ঘটনায় সে দাবি করে যে, মো. নবিরুল ইসলাম ও শ্রী সান্টু কুমার বিশ্বাস এই দুজন তাঁর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।‘
গত বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে একদল দুর্বৃত্ত মই বেয়ে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে। তারা বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানমকে হাতুড়ি দিয়ে পেটাতে শুরু করে। এ সময় ইউএনওর চিৎকার শুনে পাশের কক্ষে থাকা তাঁর বাবা ছুটে এসে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাঁকেও আঘাতে জখম করে। পরে কোয়ার্টারের অন্য বাসিন্দারা তাদের চিৎকার শুনে পুলিশকে খবর দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াহিদা খানমকে ঢাকায় আনা হয়।
ওয়াহিদা খানমের অস্ত্রোপচার গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সম্পন্ন হয়েছে। সবশেষ তাঁর জ্ঞান ফিরেছে। তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে কথাও বলেছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত হননি। তবে, তাঁর সেরে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
এ ঘটনার পর দিনাজপুরের হাকিমপুর, বিরামপুর ও ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ এবং র্যাব-১৩ এর একটি দল যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে আজ শুক্রবার ভোরে হিলির কালীগঞ্জ এলাকায় বোনের বাড়ি থেকে আসাদুল ইসলামকে আটক করে। আর রংমিস্ত্রি মো. নবিরুল ইসলাম ও সান্টু কুমার বিশ্বাসকে আজ ঘোড়াঘাট থেকে আটক করা হয়। নবিরুল ইসলাম ঘোড়াঘাট উপজেলার সামনে রংমিস্ত্রির কাজ করেন।