স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ, দুজন আটক
দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তিন দিন আটকে রেখে দুই যুবক মিলে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিরল থানা পুলিশ ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে ভিকটিম কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত লিটন এবং তাঁর সহায়তাকারী সানু নামের এক তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ।
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিকটিম কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে নারী নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে ভিকটিম।
বিরল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কাদের জানান, গত ৩ অক্টোবর কোচিং শেষে ফেরার পথে মোস্তফা, লিটন ও সানু ফুসলিয়ে ওই কিশোরীকে অপহরণ করে শহরের ‘জীবন মহল বিনোদন পার্কে’ নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন করে কিশোরীটিকে ধর্ষণ করে মোস্তফা ও লিটন। এরপর তারা থেকে বাসে করে ঢাকার বাইপাইলে একটি বাসায় রেখে পুনরায় দুই ওই দুজন মিলে কিশোরীটিকে ধর্ষণ করে।
এদিকে, মেয়েকে না পেয়ে তার মা-বাবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেনকে এবং বিরল থানায় বিষয়টি জানান। বিরল থানা পুলিশ মোবাইলে লিটন, মোস্তফা ও সানুকে মোবাইল করলে তারা ভয়ে একেক সময় একেক ধরনের কথা বলতে থাকে। অপহরণকারীরা ভিকটিম কিশোরীকে নিয়ে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের বাইপাইল থেকে দিনাজপুরের বিরলে ফিরে আসে।
পুলিশ গতকাল রাতে বিরলের পলাশবাড়ি থেকে অভিযুক্ত লিটন ও সহায়তাকারী তরুণী সানুকে আটক করে। তবে অপর অভিযুক্ত মোস্তফাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
১০নং রানিপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, ‘অভিযুক্ত সানু, লিটন ও মোস্তফা নারী পাচারকারী দলের সদস্য। তারা ভিকটিমকে কোনো পতিতালয়ে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য নিয়ে গিয়েছিল। জীবন মহল বিনোদন পার্কে কিশোরীটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে আমি জেনেছি। সেখানে অনেক ধরনের ঘটনা ঘটে।’
ভিকটিমের মা-বাবা বাদী হয়ে আজ মঙ্গলবার বিরল থানায় একটি মামলা করেছেন।
পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কাদের বলেছেন, ‘জীবন মহলে ধর্ষণের শিকার হলে তারাও আসামি হবে। কোনো অপরাধী পার পাবে না।’
আব্দুল কাদের আরো বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় আদালতে ভিকটিম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আটক আসামিদের রিমান্ডের আবেদন করা হতে পারে।’