সৌদির মসজিদে মাইকের আওয়াজ সীমিত করার ব্যাখ্যা দিল কর্তৃপক্ষ
মসজিদের লাউড স্পিকারের আওয়াজের সর্বোচ্চ সীমা বেধে দেওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ।
গত সপ্তাহে দেশটির ইসলাম ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় বলেছে, সৌদি আরবে সব মসজিদের লাউড স্পিকারের আওয়াজ সর্বোচ্চ সীমার এক তৃতীয়াংশে সীমিত রাখতে হবে। আজান ও ইকামাত ছাড়া আর কোনো ক্ষেত্রে মসজিদের মাইক ব্যবহার করা যাবে না।
এর ব্যাখ্যায় দেশটির ইসলাম ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ আল শেইখ জানিয়েছেন, জনগণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপে রক্ষণশীল মুসলিম দেশটিতে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেকেই নেতিবাচক মন্তব্য করেন। হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে রেস্তোরাঁ ও ক্যাফেতে উচ্চ শব্দে মিউজিক বাজানো নিষিদ্ধ করার দাবি উঠতে শুরু করে। খবর বিবিসির।
লতিফ শেইখ জানান, মসজিদের আজানের উচ্চ শব্দ নিয়ে যারা অভিযোগ করেছেন তাদের মধ্যে অনেক বাবা-মা আছেন, লাউড স্পিকারের শব্দে তাদের শিশুদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে বলে জানিয়েছেন তারা।
রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভিডিওতে ইসলাম ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, যারা নামাজ পড়তে চান তাদের ইমামের ডাকের জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন হয় না।
অনলাইনে এই পদক্ষেপের যারা সমালোচনা করেছেন তাদের ‘দেশের শত্রু’ অভিহিত করে এরা ‘জনমতকে উসকানি দিতে চায়’ বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান দেশটিকে একটি উদার ও আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন। জনজীবনে ধর্মের ভূমিকাও কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন তিনি।
এসব উদ্যোগের অংশ হিসেবে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর বিধিনিষেধ তুলে নেওয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক বিধিনিষেধ শিথিল করেছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।