সাতকানিয়ায় হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আওয়ামী লীগনেতা বশির আহমেদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার রুপকানিয়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে রাত আড়াইটায় সাতকানিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হেসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর চেয়ারম্যান আমজাদ হত্যা মামলায় চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম মোজাম্মেল হক বশির আহমেদ চৌধুরীসহ ১০ আসামিকে রশিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
আদেশ দেওয়ার সময় বশির আহমেদ চৌধুরীর ভাগ্নে সাতকানিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান নেজাম উদ্দিনসহ সাত আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকলেও বশির আহমদসহ তিন আসামি পলাতক ছিলেন। বশির গ্রেপ্তার হওয়ার পর ওই মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জসিম ও তারেক নামের দুই আসামি এখনো পলাতক।
জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর সাতকানিয়ার মির্জারখিল দরবার শরিফের সামনে প্রকাশ্যে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সোনাকানিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনকে। এ ঘটনায় পরের দিন ৪ অক্টোবর নিহত আমজাদ হোসেনের স্ত্রী সৈয়দা রওশন আকতার বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর ২০০০ সালের ২২ ডিসেম্বর পুলিশ সাতকানিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান নেজাম উদ্দিন, আওয়ামী লীগনেতা বশির আহমদ চৌধুরী, মোহাম্মদ ইদ্রিস, মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান চৌধুরী, আবু মোহাম্মদ রাশেদ, মোস্তাক আহম্মদ, হারুনুর রশিদ, জাহেদ, ইমতিয়াজ ওরফে মানিক, জিল্লুর রহমান, মোহাম্মদ ইদ্রিস, তারেক, আইউব, ফারুক, মোহাম্মদ মোরশেদুল আলম, তাহের, ইদ্রিস, আবদুল মালেক, জসিম উদ্দিন ও লুৎফর রহমানকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এর মধ্যে লুৎফর রহমান মারা যান।
সাতকানিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, গতকাল রাত আড়াইটায় র্যাবের একটি দল মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বশির আহমেদ চৌধুরীকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। আমরা আজ ওয়ারেন্টমূলে তাকে আদালতে সোপর্দ করেছি।