পুতিনের সংগীত প্রতিভা
আলোয় আলোয় ভরা মঞ্চ। সুসজ্জিত বাদকদল। একটু দূরে দাঁড়িয়ে একদল শিল্পী, তাঁরা অনুষ্ঠানের মূল শিল্পীর সঙ্গে গলা মেলাচ্ছেন। আর আসরের মধ্যমণি হয়ে মঞ্চে গান গাইছেন একজন।
মঞ্চ থেকে ভেসে আসছে,
‘আই ফাউন্ড মাই থ্রিল
অন ব্লুবেরি হিল
অন ব্লুবেরি হিল
হোয়েন আই ফাউন্ড ইউ
দ্য মুন স্টুড স্টিল
অন ব্লুবেরি হিল
অ্যান্ড লিংগারড আনটিল
মাই ড্রিম কাম ট্রু...
দর্শকরা তুমুল করতালির মধ্যে দিয়ে স্বাগত জানালেন শিল্পীকে। শুধু তাই নয়, রীতিমতো মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে হাতে তাল বাজিয়ে কণ্ঠ মেলালেন শিল্পীর সঙ্গে। শিল্পীকে মঞ্চে দেখে দারুণ উচ্ছ্বসিত দর্শকরা। আর হবেই না বা কেন? কারণ মঞ্চে গান গাইছেন স্বয়ং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন! যিনি বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশগুলোর একটির প্রধান।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে। অবশ্য তখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন পুতিন। এনটিভি অনলাইনের পাঠকদের জন্য পুরনো সেই ঘটনাটিই তুলে ধরা হলো।
ওই সময় প্রকাশিত বিবিসি ও এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু শুধু দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য মঞ্চে গান করেননি পুতিন। এর পেছনে ছিল একটি মহৎ উদ্দেশ্য। সেন্ট পিটার্সবার্গে শিশুদের সহায়তার জন্য আয়োজিত একটি অনুদান সংগ্রহের অনুষ্ঠানে গান করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। সেইসাথে ‘ফ্রম হোয়্যার ডাস দ্য মাদারল্যান্ড বিগিন’ শিরোনামের একটি রাশিয়ান গানের সুর বাজিয়ে শোনান পিয়ানোতে।
মঞ্চে উঠে পুতিন বলেন, ‘বেশির ভাগ মানুষের মতো আমি গান গাইতে বা বাজাতে পারি না। তবে এসব করতে দারুণ পছন্দ করি আমি।’
এরপর পিয়ানোর কাছে গিয়ে বসেন পুতিন। সাবধানী হাতে পিয়ানোতে সুর তোলেন ব্লুবেরি হিলস গানের। এরপর পিয়ানোর সামনে থেকে হেঁটে আসেন মাইক্রোফোনের কাছে। তারপর সহশিল্পীদের নিয়ে একসাথে ইংরেজিতে গেয়ে ওঠেন ‘আই ফাউন্ড মাই থ্রিল... ... ...’
নিজের নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তের মতো গান গাওয়ার ব্যাপারেও দারুণ মনোযোগী ছিলেন পুতিন। রীতিমতো গানের কথা মুখস্ত করে এবং গানের সুর শিখে মঞ্চে উঠেছিলেন তিনি। তাঁর দপ্তরের কর্মকর্তারা এমনটিই জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে।