আপনার জিজ্ঞাসা
উপার্জন হালাল নাকি হারাম বুঝব কীভাবে?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ১৭৮০তম পর্বে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে হারাম টাকা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন আবদুল মাবুত । অনুলিখনে ছিলেন মনিরুজ্জামান মনু।
প্রশ্ন : আমার হারাম পথের দুই লাখ টাকা যদি কোনো হালাল পথে ব্যয় করে তিন লাখ টাকা লাভ হয়, তাহলে পাঁচ লাখ টাকাই কি হারাম হবে? হারাম পথে দুই লাখ টাকা উপার্জন করার আগে থেকেই আমি জানতাম যে এটা হারাম পথ।
উত্তর : আপনার হারাম ইনকাম যদি হালাল পথে হয়ে থাকে তাহলে আপনার ইনকাম যেটি হয়েছে সেটি হারাম নয়। বাকি আপনি যে হারাম পদ্ধতিতে ইনকাম করেছেন, তার জন্য আপনি অবশ্যই গুনাগার হবেন এবং আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে, হারাম উপাজর্ন যেভাবে করেছেন সেখানে যদি কারো হক থেকে যায় তাহলে ওয়াজিব হচ্ছে সেখানে প্রত্যর্পন করতে হবে ফি দিতে হবে। সেটা আপনি দেখে নিবেন। আপনি সুস্পষ্ট পদ্ধতি আলোচনা করেননি যে কীভাবে কোন হারাম পদ্ধতিতে উপার্জন করেছেন। এখানে আমার মনে হচ্ছে যেন প্রশ্নতে আমি যেটা উপলব্ধি করছি যে, আপনি কী চিন্তা করেছেন আমি জানি না। আপনার প্রশ্ন থেকে আমি যেটা উপলব্ধি করছি যে, মনে হচ্ছে জিনিসটাকে খুব একটা ভিন্ন ধরনের বিষয় হিসেবে মনে করেছেন যে হারামভাবে উপার্জন করেছি। প্রশ্নটা কি এমন ধরনের কি না, মানে হারামকে আমরা ঈমানদার ব্যক্তিরা এভাবে চিন্তা করি বা বিবেচনা করি। যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে ঈমানই থাকবে না। ঈমানই নষ্ট হয়ে যাবে। খেয়াল রাখতে হবে যেটি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হারাম করেছেন সেটি হারাম। সেখানে সতর্কতার ব্যাপার আমাদের আছে। কিন্তু আপনার প্রশ্ন থেকে মনে হচ্ছে যেন আরামভাবে আমি উপার্জন করেছি, একটু বিনোদন বিনোদন স্টাইল। না এটি শুদ্ধ নয়। হারামের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক হতে হবে, জানতে হবে। কারণ ঈমানদার ব্যক্তিদের কাজ নয় এটি। এটি ঈমানদার ব্যক্তিরা করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে আপনারা যদি সতর্ক না হন, তাহলে গুনাহগার হবেন। বড় ধরনের গুনাহগার হতে পারেন, ঈমানও চলে যেতে পারে।