রম্য
চাকরি পেতে নিজের ঢোল পেটান
চাকরি আজকাল সোনার হরিণ। যোগ্যতা যা-ই থাকুক, চাকরি পেতে মামা-চাচা লাগেই। তো, যাঁদের যোগ্যতা আছে, কিন্তু মামা চাচা নেই, তাঁরা কি বসে থাকবেন? একদম না। কেননা, হাস্যরসের এইবারের কাল্পনিক ধামাকা, চাকরি পাওয়ার টিপস। প্রিয় পাঠক, এই টিপসে কাজ না হলেও আশা করি মজা পাবেন।
ঢোল পেটান
ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ঢোল নিজে বেশি করে পেটান। সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করুন, আপনি একটি জায়গায় চাকরি করেন, কিন্তু সেখানে কাজ খুব একটা নেই। আপনি টাকার পাগল নয়, কাজপাগল! তাই যেখানে কাজ করার বেশি সুযোগ থাকবে, সেখানে বর্তমান চাকরি ছেড়ে কাজ করবেন। বিশ্বাস করুন, আপনার এ রকম লেখা পড়ে একজন না একজন অফিসের বস কমেন্ট করে অন্ততপক্ষে বলবে, আপনাকেই খুঁজছি মামা। এত দিন কোথায় ছিলেন?
ভাব মারেন
কথায় আছে, যার কিছু নাই তার ভাব আছে। সুতরাং আপনি ইন্টারভিউতে বলার চেষ্টা করুন, আমার আসলে চাকরির খুব দরকার নেই। পারিবারিক ব্যবসা আছে, কিন্তু আমি চাই নিজের পায়ে দাঁড়াতে। তাই চাকরি করতে চাইছি। এই কথাটা বললে দেখবেন, সাক্ষাৎকার যাঁরা নিচ্ছেন, তাঁরা অটোমেটিক ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল হয়ে যাবে, কারণ আজকাল যাঁদের চাকরির দরকার হয় না, তাঁরাই চাকরি পান।
চাপার জোর বাড়ান
সুযোগ পেলে ইন্টারভিউতে চাপা মারুন। বলুন, আপনি আগে বেশ কয়েক জায়গায় চাকরি করেছেন, কিন্তু সেগুলোর পরিবেশ তেমন ভালো না। তাই চাইছেন, তাদের অফিসে চাকরি করতে। অবশ্য যদি তারা সেই অফিসগুলোতে চাকরি করার ডকুমেন্ট চায়, তাহলে বলুন, স্যার ওই অফিস কিংবা কোম্পানির ওপর আমি এতটাই বিরক্ত হয়েছিলাম যে রাগে ডকুমেন্ট ছিঁড়ে ফেলছি, কারণ, আমি ওদের কোনো স্মৃতি রাখতে চাই না।
পাদটীকা
কথায় আছে, সময়, নদীর স্রোত এবং গার্লফ্রেন্ড কারো জন্য অপেক্ষা করে না। ওপরের টিপসগুলো আপনাদের কোনো কাজে আসবে না, জানি। তাই বলে কি চাকরি না পাওয়ার কারণে গার্লফ্রেন্ড হারাবেন? একদম না। এক কাজ করতে পারেন, পড়ালেখা শেষ পর্যায়ে যখন ইন্টার্নশিপ করবেন, তখন বিয়ের কাজ সেরে নেবেন। কেননা, কনেপক্ষের লোক যখন চাকরি করেন কি না সেটা তদন্তে আসবে, তখন তারা দেখতে পাবে আপনি অফিস কিংবা ব্যাংকে বাবুর মতো কাজ করেন।