মুনাফার ৬০ শতাংশ যাবে রিজার্ভে, বাকিটা শেয়ারহোল্ডারদের
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের বিদায়ী ২০২৩ সমাপ্ত বছরে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা দুই পয়সা। এর মধ্যে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা পাবে এক টাকা ২০ পয়সা বা ৩৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। বাকি এক টাকা ৮২ পয়সা বা ৬০ দশমিক ২৬ শতাংশ চলে যাবে কোম্পানির রিজার্ভ বা রিটেইল প্রফিটে। আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গেল ২০২৩ সমাপ্ত বছরে আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে গতকাল সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কোম্পানিটির পর্ষদ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য মেয়ার প্রতি এক টাকা ২০ পয়সা বা ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আলোচিত সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে তিন টাকা দুই পয়সা। আগের ২০২২ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল দুই টাকা ২৫ পয়সা। এসময়ের ব্যবধানে শেয়ার প্রতি মুনাফা বেড়েছে ৭৭ পয়সা বা ৩৪ দশমিক ২২ শতাংশ।
সমাপ্ত বছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৫৩ পয়সা। আগের বছরের এনওসিএফপিএস ছিল পাঁচ টাকা ৫৯ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৪০ পয়সা। আগের অর্থবছরে এনএভিপিএস ছিল ১৮ টাকা ৫৭ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) বিসিআইসি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ মার্চ, বেলা ১১টায়। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১২ মার্চ।
মুনাফা বাড়ার প্রসঙ্গে ডিএসইকে সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, কোম্পানির আন্ডাররাইটিং ও অন্যান্য আয় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে শেয়ার প্রতি মুনাফা বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। আবার প্রিমিয়াম আয় কমে যাওয়া এবং পুনঃবীমা পরিশোধ বাড়ানোর ফলে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ কমেছে ৬ পয়সা। এছাড়া শেয়ার, সরকারি ট্রেজারি বন্ড ও এফডিআরে বিনিয়োগ বাড়ার কারনে শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য বেড়েছে এক টাকা ৮৩ পয়সা।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৬৮ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা ছয় কোটি ৮১ লাখ ৬৬ হাজার ১২২টি। রিজার্ভ রয়েছে ১১০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আজ সোমবার লেনদেন শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর ছিল ৬৮ টাকা ৮০ পয়সা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৩৬ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালক ৩৮ দশমিক ৫২ শতাংশ, বিদেশি দশমিক শূন্য দুই শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ২৫ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।