প্রথমার্ধে গোলশূন্য বাংলাদেশ-আফগানিস্তান
প্রথমার্ধে অধিকাংশ সময় খেলা হলো বাংলাদেশের অর্ধে। তবে সাত ফরোয়ার্ড নিয়ে নামা আফগানিস্তানকে ভালোভাবে আটকে রাখল চার ডিফেন্ডার নিয়ে নামা বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে দুই দলের প্রথমার্ধ শেষ হয়েছে গোলশূন্যভাবে।
২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে বৃহস্পতিবার কাতারের দোহার জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে লড়ছে দুই দল।
এ ম্যাচে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয়েছে ফিনল্যান্ড প্রবাসী ডিফেন্ডার কাজী তারিক রায়হানের। তার সঙ্গে রহমত মিয়া, তপু বর্মন ও রিয়াদুল হাসান রাফিকে দিয়ে রক্ষণভাগ সাজান জেমি। প্রথমার্ধের পরীক্ষায় সফল রক্ষণভাগ।
বলের নিয়ন্ত্রণে আফগানরা এগিয়ে থাকলেও প্রথম ভালো সুযোগটি পেয়েছিল বাংলাদেশ। ষোড়শ মিনিটে অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বক্সে বল পান মাশুক মিয়া জনি। কিন্তু এই মিডফিল্ডারের আড়াআড়ি ক্রসে টোকা দেওয়ার মতো কেউ ছিল না গোলমুখে। অবশ্য জনির বল পেয়ে যাওয়ার পেছনে দায় আছে আফগানিস্তানের রক্ষণের বোঝাপড়ার ভুলেরও।
২০তম মিনিটে আফগানিস্তানের আমির শারিফির শট এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে কিছুটা দিক পাল্টালেও গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো পা দিয়ে আটকান। তিন মিনিট পর আহমেদ নাজিমের ক্রস দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় গ্লাভসে নেন জিকো।
২৭তম মিনিটে প্রথম কর্নার পায় বাংলাদেশ। জামালের নিচু কর্নার অনায়াসে বিপদমুক্ত করেন আফগানিস্তানের এক ডিফেন্ডার।
৩১তম মিনিটে আফগানিস্তান অধিনায়ক ফারশাদ নুরের কাছের পোস্টে নেওয়া শট জিকো কর্নারের বিনিময়ে ফেরান। প্রথম লেগে নুরের একমাত্র গোলেই বাংলাদেশকে হারিয়েছিল আফগানিস্তান।
অভিষেকে দারুণভাবে রক্ষণ সামলানো তারিক ৩৭তম মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন।
বাংলাদেশ একবারই আফগানিস্তানকে হারিয়েছিল ১৯৭৯ সালে; সেবার এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ৪-১ গোলে জিতেছিল দল। এরপর ২০১০ সালের এসএ গেমসে আফগানিস্তানকে ৪-০ গোলে হারিয়ে সোনার পদক জিতেছিল বাংলাদেশ; এ টুর্নামেন্ট অবশ্য অনূর্ধ্ব-২৩ দলের।