লিভারপুলের উৎসবের ম্যাচে মাদ্রিদে হতাশা
রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে লিভারপুলের ম্যাচ হবে, আর সেখানে শেষ হাসি মাদ্রিদের—গত ১৫ বছরে এমনটিই হয়ে আসছিল। ২০০৯ সালে অ্যানফিল্ডে সর্বশেষ জয়ের দেখা পেয়েছিল লিভারপুল। ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে পাওয়া জয়ের পর দুদল মুখোমুখি হয়েছে আরও আট ম্যাচে। যার সাতটিতে জিতেছে মাদ্রিদ, একটি ড্র। অবশেষে ১৫ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মাদ্রিদের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ নিতে পেরেছে ইংলিশ ক্লাবটি। লিভারপুলের জয়টি ২-০ ব্যবধানে।
এ ম্যাচে মাদ্রিদ খেলেছে ভাঙাচোরা একাদশ নিয়ে। নিয়মিত একাদশের অনেকেই ছিলেন না চোটের কারণে। নামগুলোও ভারী ভারী। দানি কার্ভাহাল, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রদ্রিগো, এদের মিলিতাও, অঁরেলিয়ে চুয়ামেনি, ডেভিড আলাবা— নিয়মিত একাদশের অর্ধেকই যেন নেই। তার ওপর ম্যাচে পেনাল্টি মিস করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে দুটি গোল আদায় করে নেয় লিভারপুল। ৫২ মিনিটে ম্যাক অ্যালিস্টারের গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৭৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন গ্যাকপো। লিভারপুল আরও বড় ব্যবধানে জয় পেতে পারত। মোহাম্মদ সালাহ পেনাল্টি মিস করায় সেটি আর হয়নি।
এই ম্যাচ জিতে লিভারপুল কোচ আর্নে স্লট জানান, যেন বিশাল এক ব্যথা দূর হয়েছে। অন্যদিকে, রিয়াল মাদ্রিদ এখনও আশা ছাড়ছে না। কার্লো আনচেলত্তি জানালেন, মাদ্রিদ বরাবরের মতোই লড়াই চালিয়ে যাবে।