বিসিবির এজিএমে আর্থিক বিবরণী অনুমোদন
প্রায় চার বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বিসিবির এজিএম হয়। এজিএমে কাউন্সিলরদের সম্মতিক্রমে তিন বছরের আর্থিক বিবরণী অনুমোদন হয়েছে। একই সঙ্গে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদনও করা হয় এজিএমে।
নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতির জন্য আগামী ১ সেপ্টেম্বর ডাকা হয়েছে বোর্ড সভা। সেখানেই সিদ্ধান্ত আসবে বিসিবির নির্বাচন নিয়ে। তবে এবারের নির্বাচন যে কঠিন হবে, সেই আভাস আজকে এজিএম শেষে দিয়ে রেখেছেন বিসিবির বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
করোনা পরিস্থিতি ও নানা কারণে বিসিবির এজিএম নিয়ে অপেক্ষা বাড়ছিল বারবার। অবশেষে অপেক্ষা শেষ হয়েছে। আজ বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সভাপতিত্বে ১২০ জন কাউন্সিলরের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় এজিএম। নাজমুল হাসান দ্বিতীয় মেয়াদে বিসিবির সভাপতি হওয়ার পর এটিই প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভা।
এজিএমের শুরুতেই বক্তব্য দেন বিসিবিপ্রধান। এরপর বিগত চার বছরে বিসিবির কার্যাবলী ও সাফল্য নিয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) ১৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তার আট পৃষ্ঠার হিসাব বিবরণী তুলে ধরা হয়।
২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থ বছরের অডিট রিপোর্ট এজিএমে অনুমোদিত হয়েছে। তিন বছরের আয়-ব্যয় সংক্রান্ত অডিট রিপোর্ট, কার্যক্রমসহ সবকিছুর অনুমোদন নিয়ে আলোচনা হয় এজিএমে। পাশাপাশি পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত অর্থবছরগুলোর আয়-ব্যয় সংক্রান্ত বিষয় নিরীক্ষণ ও অনুমোদন এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন করা হয়।
কাউন্সিলররা নিজেদের আপত্তি ও নানা বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন। এ ব্যাপারে বিসিবির প্রধান নাজমুল হাসান বলেন, ‘বিগত চার বছরে মাঠের সাফল্য আমাদের প্রশংসায় ভাসিয়েছে। প্রত্যেক কাউন্সিলর আমাদের কার্যক্রমে খুশি। এখন ছেলেদের জাতীয় দলে অনেক খেলোয়াড়। পাইপলাইন ঠিক আছে। একটা পাইপলাইন চেয়েছিলেন তারা। সেটা হয়েছে। এখন আমাদের প্রচুর পরিমাণ খেলোয়াড়। তারা ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছে। আমাদের যুব দল বিশ্বকাপ জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। মেয়েরা এশিয়া কাপ জিতেছে। ছেলেরা ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতেছে। সবকিছুর ঊর্ধ্বে বাংলাদেশের যুব বিশ্বকাপ জয়। বিশ্বকাপ জয় আমাদের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এ ছাড়া নারীদের এশিয়া কাপ জয়সহ অনেক সাফল্য এসেছে আমাদের।’
তবে সবকিছুর মধ্যেও বিভাগীয় খেলা দিয়ে সন্তুষ্ট করতে পারেনি বিসিবি। এবার সে ব্যাপারেও আশা দেখালেন বোর্ড সভাপতি, ‘আমরা পাইলট প্রকল্প হিসেবে চট্টগ্রাম ও সিলেটে আঞ্চলিক ক্রিকেট কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা পুরোপুরি তা গঠন করতে পারিনি, সেটা আমাদের ব্যর্থতা। তবে আমরা বিভিন্ন জেলায় এ কার্যক্রম শুরু করব। যদিও অনেক জটিলতা রয়েছে। দুই জায়গায় করে পেরেছি। সেই অভিজ্ঞতা সামনে কাজে লাগিয়ে সারা দেশে আমরা আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠন করব।
বিসিবি সভাপতি আরো বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমাদের মাঠ নেই। ঢাকার কথা চিন্তা করলেও দেখেন আমাদের মাঠ নেই। স্টেডিয়াম আছে কিন্তু খেলার জন্য পর্যাপ্ত মাঠ নেই। আমরা এখন জোর দিচ্ছি মাঠের ব্যাপারে। যেখানেই সুযোগ পাই, আমরা মাঠের জন্য জমি কিনব। আমরা খেলোয়াড়দের জন্য আরো মাঠ চাই।’