বিসিবির বহুল প্রতীক্ষিত এজিএম কাল
করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) নিয়ে অপেক্ষা বাড়ছিল বারবার। অবশেষে অপেক্ষা শেষ হচ্ছে। ঠিক হয়েছে এজিএমের দিনক্ষণ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বিসিবির বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম হবে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
সবশেষ ২০১৭ সালে হয়েছিল বিসিবির এজিএম। মাঝে করোনা জটিলতা ও নানা কারণে এজিএম করতে পারেনি দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। তবে এবার সুন্দরভাবে সুষ্ঠু একটি বার্ষিক সভার আয়োজন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজামউদ্দিন।
এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের নিজামউদ্দিন বলেন, ‘আগামী ২৬ আগস্ট আমাদের বোর্ডের (বিসিবি) বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রকৃতপক্ষে গত তিন বছর নানা সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা আমাদের বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন করতে পারিনি। এ বছর চেষ্টা ছিল জুলাই মাসে আমাদের এজিএমটা করার। সেটা সম্ভব হয়নি কোভিড প্রতিবন্ধকতার কারণে। এখন একটা তারিখ নির্ধারণ করেছি, আমাদের প্রস্তুতিও মোটামুটি সম্পন্ন। ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি আমাদের অনেক কাউন্সিলর ঢাকায় অবস্থান করছেন। আশা করছি সুষ্ঠ, সুন্দরভাবে আমাদের বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন করতে পারব।’
বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুসারে, প্রতি অর্থবছর শেষ হওয়ার ১২০ দিনের মধ্যে পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও নির্বাচিত স্থানে এজিএম করা। কিন্তু এই ধারা অনুসারে আয়োজিত হচ্ছে না এজিএম। তিন বছর ধরে এজিএম না হওয়ার ব্যাপারে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার ভাষ্য, ‘দেখুন, কিছু সীমাবদ্ধতা তো থাকেই। আমাদের সংস্থার ধরণটাই এমন যে নানা রকমের কার্যক্রম থাকে। এসবের সাথে কোভিড পরিস্থিতি, যদিও এভাবে বলা ঠিক হবে না। সবকিছু মিলিয়েই বিলম্বটা হয়েছে।’
এরপর এবারের এজিএমে কোন কোন এজেন্ডা থাকবে সে ব্যাপারে নিজামউদ্দিন বলেন, ‘বোর্ডের লক্ষ্য সব সময়ই থাকে যেন, পেশাদারিত্বের জায়গাটা বেশি করে পরিচয় করানো যায়। সে চেষ্টাই করছি, বাকিটা আমাদের কাউন্সিলররা বলবে। কী কী এজেন্ডা থাকবে, সেগুলো আমাদের গঠনতন্ত্রে বলা আছে। প্রকৃত পক্ষে বার্ষিক সাধারণ সভায় আমাদের সিইও রিপোর্ট, অডিটেড অ্যাকাউন্টস এবং বাজেট—মূলত এ বিষয়গুলোই আসে।’
নিজামউদ্দিন আরো যোগ করেন, ‘সুন্দর সমন্বয় নিয়েই কাজটা হচ্ছে। আমাদের বোর্ডের পরিচালক, ম্যানেজমেন্ট টিম আছে, একসাথে কাজ করে। আমাদের সংশ্লিষ্ট যেসব সাব-কমিটি আছে এবং সেসবের দায়িত্বে যারা আছেন, তাদের যখন যে সহযোগিতা প্রয়োজন হয়, তখন সেটা নিয়েই কিন্তু ম্যানেজমেন্ট কাজ করে।’