২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা জানালেন নেইমার
নেইমার জুনিয়র—ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলারদের একজন। ২০১০-২০১১ সালে মেসি-রোনালদোদের ভিড়ে নিজেকে প্রমাণ বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নেইমারের। পায়ের জাদুতে ধীরে ধীরে নিজের ভাগ্যটা নিজেই লিখতে শুরু করলেন। নেইমারকে দিয়েই বিশ্বজয়ের স্বপ্ন বুনতে শুরু করলেন ব্রাজিল ভক্তরা। আজও সেই স্বপ্ন অধরা। সামনে আরও একটি বিশ্বকাপ, নেইমার কি পারবেন ব্রাজিলের দুই যুগের সেই আক্ষেপ ঘোচাতে?
২০২২ কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টারে ক্রোয়েশিয়ার কাছে পেনাল্টিতে হারের পরই অনেকে জাতীয় দলে নেইমারের শেষ দেখে ফেলেছিলেন। তবে, সবাইকে অবাক করে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার ইচ্ছা পোষণ করলেন নেইমার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান ব্রাজিলিয়ান তারকা।
কবে জাতীয় দলে ফিরবেন, এমন প্রশ্নে নেইমারের জবাব, ‘অবশ্যই। আমি ফিরব। সেই প্রস্তুতিই নিচ্ছি। আমাকে এবারই ডাকতে পারত। কিন্তু কোচের সঙ্গে কথা বলার পর বুঝেছি, তিনি না ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু পরেরবার আমি অবশ্যই সতীর্থদের সঙ্গে থাকব। দেশের প্রতিনিধিত্ব করার চেয়ে ভালো আর কিছুই হয় না। আশা করি দল আরও উন্নতি করবে।’
নেইমার আরও যোগ করেন, ‘সবার আগে আমি আল হিলালের হয়ে ভালো একটি মৌসুম কাটাতে চাই। মারাত্নক এক চোট থেকে কেবল ফিরেছি। নিজের পর্যায়ে ফিরতে ও কেন এখানে আছি, তা বোঝাতে এখনো হাতে সময় আছে। আমার অগ্রাধিকার হলো ভালোভাবে সেরে ওঠা। শারীরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে আবারও খেলা শুরু করা। আল হিলালের হয়ে আমি ২০২৫ ক্লাব বিশ্বকাপ খেলতে চাই। কারণ, ক্লাবের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ।’
বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে নেইমার আরও বলেন ‘অবশ্যই বিশ্বকাপে খেলা সব খেলোয়াড়েরই লক্ষ্য। আমি এরই মধ্যে তিনটি বিশ্বকাপে খেলেছি। অবশ্যই চতুর্থটিতেও খেলতে চাই। এটায় মনোযোগী থাকতে হবে এবং ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে।’
সর্বশেষ ১৪ ম্যাচে জাতীয় দলের হয়ে একটি ম্যাচেও মাঠে নামতে পারেননি। তাই তার জন্য জাতীয় দলে ফিরে ছন্দ খুঁজে পাওয়াটা বড় চ্যালেঞ্জ। ৩৫ বছর বয়সে এসে বিশ্বকাপ জিতেছেন নেইমারের ক্লাব সতীর্থ আর্জেন্টিনার সুপারস্টার লিওনেল মেসি। আর ২০২৬ সালে নেইমারে বয়সও হবে ৩৫। তাই মেসি থেকে অনুপ্রেরণা নিতেই পারেন নেইমার।