দানবরাজের জন্মদিনে গুগলের ডুডল
হালকা আলো। ক্যামেরার রোলিং শুরু হয়েছে। সব ফিল্ম ক্রু রুদ্ধশ্বাসে চুপচাপ অপেক্ষা করছে। তখনই আচমকা, হাতে আঁকানো আকাশসীমার কাছ থেকে বেরিয়ে এলো এক বিশালদেহী দানব। তার হুঙ্কারে আর শরীরের ঝাঁকিতে উঠল ধুলোবালির ঝড়। ধীরে ধীরে ক্যামেরার দিকে এগিয়ে আসছে সে... এমন সময় চিৎকার—‘কাট’!
এমন ছবি দেখেছেন কখনো? এই লাইভ অ্যাকশন ঘরানার ছবিগুলোকে জাপানিতে ‘তোকুসাৎসু’ বলা হয়। এখনকার অনেক ছবিতেই দেখা যায় এমন দৃশ্য। তবে এ ধরনের ছবি নিয়ে সবচেয়ে ভালো কেরামতি দেখিয়েছে জাপানিরা। এই ‘তোকুসাৎসু’ ঘরানার, মানে দৈত্য-দানবের হুলুস্থূলে ভরা ছবির রাজা বলা হয় জাপানি চলচ্চিত্রনির্মাতা এইজি সুবুরাইয়া। এই মহান চলচ্চিত্রকার হলেন আল্ট্রাম্যানের স্রষ্টা, ‘গডজিলা’ নির্মাণেও ছিল তাঁর বিশাল ভূমিকা। তোকুসাৎসুকে মূলধারার চলচ্চিত্রে নিয়ে আসার পেছনে মুখ্য ভূমিকা ছিল তাঁর।
চিত্রপরিচালক সুবুরাইয়ার আজ ১১৪তম জন্মদিন। তাঁর জন্মদিনে শ্রদ্ধা হিসেবে গুগল আজ তৈরি করেছে এক বিশেষ ডুডল। এই ডুডলে মিলবে সুবুরাইয়ার কাজের জাদু।
সুবুরাইয়া নিজেই বানিয়েছিলেন স্পেশাল ইফেক্টের স্টুডিও। তাঁর কাজকারবার ছিল বড় বড় দৈত্যদানব নিয়ে। সুবুরাইয়া প্রোডাকশনসের এই স্টুডিওতে গুগলের একটি দলও পরিদর্শনে গিয়েছিল। উদ্দেশ্য, ডুডল নির্মাণে তথ্যগত উপাত্ত পাওয়া।
গুগলের সেই দল মুগ্ধ সুবুরাইয়ার স্টুডিও দেখে। জেনিফার হোম নামের এক কর্মীর মতে, সুবুরাইয়ার চিত্রকর্ম অসামান্য। বেনিসিও দেল তোরোর বিখ্যাত প্যাসিফিক রিম ছবিতেও ‘তোকুসাৎসু’ স্টাইলের প্রভাব রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
১৯০১ সালের এই দিনে জাপানের ফুকুশিমার সুকাগাওয়া অঞ্চলে সুবুরাইয়ার জন্ম। ১৯৭০ সালে জাপানের শিজুওকায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।