টরেন্টের জনপ্রিয়তা কমছে
ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধির সাথে সাথে জনপ্রিয় হচ্ছে নেটফ্লিক্স, হুলু কিংবা ইউটিউবের মতো ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট। এর ফলে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা কমে যাচ্ছে ডাউনলোডভিত্তিক টরেন্ট সাইটগুলোর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে ইউরোপ ও এশিয়ায় জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে টরেন্ট। সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদন অবলম্বনে এই তথ্য দিচ্ছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট মাদারবোর্ড।
বেশ কয়েক বছর ধরে ফাইল আদান-প্রদানের জন্য পিয়ার-টু-পিয়ার কানেকশন ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সহজ মাধ্যম। তবে সে জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নেটফ্লিক্স ইতিমধ্যেই বিটটরেন্টকে টেক্কা দিয়েছে। সে দেশের মোট নেটওয়ার্ক ট্রাফিকের মাত্র পাঁচ শতাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে টরেন্টের ক্ষেত্রে। অন্যদিকে, নেটফ্লিক্স দখল করে বসেছে ৩০ শতাংশ! একই ধরনের ফলাফল দেখা গেছে ইউরোপ, এমনকি এশিয়া অঞ্চলেও।
কানাডিয়ান নেটওয়ার্কিং কোম্পানি স্যান্ডভাইন এই গবেষণা চালিয়েছে। তবে তাদের মতে, টরেন্ট ব্যবহারকারীর সংখ্যা যে রীতিমতো কমে যাচ্ছে, ঠিক তা নয়। অনেকেই এই টরেন্টের ‘বেআইনি’ ডাউনলোড ব্যবস্থা ছেড়ে বৈধ উপায় অবলম্বনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এ কারণেই বৈধ স্ট্রিমিং সেবাদাতাদের দিকে মার্কেট শেয়ারের পাল্লা ভারি হচ্ছে দিন দিন।
এই মুহূর্তে ইউরোপে মোট নেটওয়ার্ক ট্রাফিকের ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে টরেন্টে। মাত্র দুই বছর আগেও এই হার ছিল ১৭ দশকি ৯৯ শতাংশ। ইউরোপে নেটফ্লিক্স পিছিয়ে থাকলেও বেশ জনপ্রিয় ইউটিউব।
তবে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে এখনো টরেন্ট অন্যান্য এলাকার তুলনায় জনপ্রিয়। সাথে সমানতালে পাল্লা দিয়ে জনপ্রিয় হয়েছে ইউটিউব। তবে আগের বছরগুলোর তুলনায় কমেছে টরেন্টের ব্যবহার।
প্রযুক্তি দুনিয়ার রথিমহারথি প্রতিষ্ঠানগুলো এখন স্ট্রিমিং সেবার দিকে নজর দিচ্ছে। তাদের এসব উদ্যোগের রহস্যে সমাধান করে দিচ্ছে এই পরিসংখ্যান প্রতিবেদন। অন্যদিকে নেটফ্লিক্স যুক্তরাষ্ট্রের বাজার মাত করে এখন ইউরোপ ও এশিয়ার বাজার ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।